Barabani child death

ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর মৃত্যুর নালিশ, বিক্ষোভ

বিক্ষোভের খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (হিরাপুর) ঈশিতা দত্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাবানি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ১০:০৪
Share:

কেলেজোড়া হাসপাতালে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে ঋত্বিকা মারান্ডি নামে দু’মাসের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বারাবনি কেলেজোড়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতির সামাল দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইঞ্জেকশনের জন্য মৃত্যুর অভিযোগ ঠিক নয়।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ ওই শিশুটির ভবিষ্যতের জন্য জরুরি একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পরিবারের সদস্যেরা হাসপাতালে পৌঁছে কর্তৃপক্ষের কাছে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্যই মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগ করে এবং শিশুটির দেহ হাসপাতালে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকশো বাসিন্দা। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, অন্য রোগী ও তাঁদের পরিজনেরাও সমস্যায় পড়েন।
শিশুটির বাবা রাজকুমার মারান্ডি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, বুধবার মেয়েকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার পরে, এ দিন ভোর ৫টা নাগাদ শিশুটি মারা যায়। তাঁর অভিযোগ, “ওই ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্যই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।” শিশুটির মা পুলিশকে জানিয়েছেন, ভোর ৩টে নাগাদও
মেয়ে ভাল ছিল।

বিক্ষোভের খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (হিরাপুর) ঈশিতা দত্ত। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে শিশুটির দেহের ময়না-তদন্ত হয়।

Advertisement

বিএমওএইচ (কেলেজোড়া) নাজরিন রহমান দাবি করেন, “ওই ইঞ্জেকশন দেওয়ার ফলে শিশুটির কোনও সমস্যা হয়নি। কারণ, একই ভায়াল থেকে বুধবার আরও ন’টি শিশুকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। সবাই সুস্থ রয়েছে। তবু সংশ্লিষ্ট শিশুটির পরিবারের দাবি অনুযায়ী, ময়না-তদন্ত হয়েছে।” নাজরিন জানান, ঋত্বিকাকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে পর্যবেক্ষণেও রাখা হয়েছিল। কোথাও কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। সমস্যা হলে, তা সঙ্গে-সঙ্গেই হত। যেমন, শিশুটির জ্বর আসত। শরীরে ‘র‌্যাস’ বেরোনো, খিঁচুনি হওয়া, হাত-পা ফুলে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারত। সে সব হয়নি। বিএমওএইচ জানান, শিশুটির মা-বাবার সঙ্গে কথা বলে তিনি জেনেছেন, ভোর ৩টে নাগাদ শিশুটিকে দুধ খাওয়ানো হয়েছিল। তার দু’ঘণ্টা পরে শিশুটির নাক থেকে রক্ত ও মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে দেখা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement