Road Accident

চেকপোস্টে দুর্ঘটনার পরে আক্রান্ত পুলিশ

বিষয়টি নিয়ে ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী বলেন, “সামান্য ধস্তাধস্তি হয়েছে। বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য তিন জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুলটি শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৭
Share:

ভাঙচুরের পরে। পুলিশের গাড়ি এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের মোটরবাইক। নিজস্ব চিত্র

পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছাড়াল পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় কুলটির ডুবুরডিহি চেকপোস্টে। অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ পুলিশের উপরে চড়াও হন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশ চৌকি, পুলিশের একটি গাড়ি এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেশ কয়েকটি মোটরবাইকে। এই ঘটনায় মোট তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবারবিকেলের ঘটনা।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী বলেন, “সামান্য ধস্তাধস্তি হয়েছে। বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য তিন জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” একটি সূত্রের দাবি, কয়েক জন পুলিশকর্মীকেও জখম অবস্থায় দেখা যায়। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি পুলিশকর্তারা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ এক মোটরবাইক আরোহী কল্যাণেশ্বরীর দিক থেকে বরাকরের দিকে যাচ্ছিলেন। রাস্তায়, একটি চৌমাথায় ঝাড়খণ্ডগামী একটি ট্রাক বাইকে ধাক্কা মারে। ওই মোটরবাইক আরোহী জখম হন। এ দিকে, ট্রাক নিয়ে চম্পট দেন চালক। খবর পেয়ে পুলিশ ওই জখম মোটরবাইক চালককে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

Advertisement

ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩০০-৩৫০ জন বাসিন্দা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। অভিযোগ, শুরু হয় ভাঙচুর। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমেই ডুবুরডিহিতে তাদের একটি নজরদারি-চৌকিতে ভাঙচুর চালানো হয়। ভিতরে থাকা কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। ভাঙচুর করা হয় সেখানে থাকা একটি কম্পিউটার এবং সিসিটিভি ক্যামেরাতেও। এর পরেই ক্ষুব্ধ জনতার নজর পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের একটি টহলদার ভ্যানে। সেটি ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রায় বারোটি মোটরবাইকেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে এই পরিস্থিতি চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কমব্যাট ফোর্স। চলে আসেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারাও। পুলিশের বিশাল বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স দ্রুত উপস্থিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

রাত পর্যন্ত খবর, জখম মোটরবাইক আরোহী স্থানীয় বাসিন্দা হতে পারেন। তাঁর আটটি সেলাই পড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে গিয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে এলাকাবাসীর কেউ মুখ খুলতে চাননি। তবে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, যে সময়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, সে সময় এলাকায় কোনও পুলিশকর্মীকে দেখা যায়নি। যদিও, পুলিশের দাবি, নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়। কোথাও কোনও সমস্যা ছিল না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement