কালনায় স্কুল পরিদর্শকের অফিসের সামনে ক্ষোভ শিক্ষকদের। নিজস্ব চিত্র
স্কুল পরিদর্শকের দফতরের গাফিলতির কারণে পে কমিশনে বর্ধিত বেতনের সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হবেন, এই অভিযোগে সোমবার বিক্ষোভ দেখালেন কালনা পূর্ব চক্রের নানা প্রাথমিক স্কুলের বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা। দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। জেলা স্কুল পরিদর্শক নারায়ণচন্দ্র পালের অবশ্য আশ্বাস, সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ হয়েছে।
ওই চক্রের বিভিন্ন স্কুলে রয়েছে ২৮১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এ দিন দুপুরে তাঁদের মধ্যে প্রায় একশো জন পৌঁছে যান কালনা থানার বিপরীতে পূর্ব চক্র কার্যালয়ের সামনে। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁদের দাবি, ২০১৯-এর বেতন পুনর্বিন্যাস অনুযায়ী (রোপা ২০১৯) বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুল পরিদর্শকদের তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে বলেও দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা।
বিক্ষোভে শামিল শিক্ষক-শিক্ষিকারা অভিযোগ করেন, পে কমিশনের বর্ধিত বেতন দ্রুত তাঁদের পাওয়ার কথা। অথচ, শিক্ষা দফতরের পোর্টালে পূর্ব চক্রের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্বন্ধে ভুল তথ্য ‘আপলোড’ করা হয়েছিল। স্কুল পরিদর্শকের অফিসের গাফিলতিতে তা হয়েছে। ফলে, সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
শিক্ষক সুজয় সাহার অভিযোগ, ‘‘স্কুল পরিদর্শক আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পোর্টালে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এর মাসুল দিতে হচ্ছে এই চক্রের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পোর্টালে কোনও ভাবেই ভুলটি সংশোধন করা যাচ্ছে না।’’ এ বিষয়ে স্কুল পরিদর্শক তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন না বলেও তাঁদের দাবি। শিক্ষিকা সুপর্ণা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘ওই ভুলের কারণে আমরা সমস্যায় পড়ে গিয়েছি। কী ভাবে সমাধান হবে, জানা যাচ্ছে না! ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় আছি।’’ ভুলটি ঠিক না করা হলে পে কমিশন অনুযায়ী, তাঁরা ৩,৫০০-৫,৫০০ টাকা বেতন কম পাবেন বলে দাবি করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
কালনা পূর্ব চক্রের স্কুল পরিদর্শক অভিজিৎ জানাকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএসেরও। জেলা স্কুল পরিদর্শক নারায়ণচন্দ্র পাল বলেন, ‘‘কালনা পূর্ব চক্রের ভুলটি সার্কেল এবং জেলা থেকে ঠিক করা যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি জানিয়ে রাজ্যে ই-মেল পাঠিয়েছি। সেখান থেকে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমরা তা পাঠাচ্ছি। আশা করছি, সমস্যা মিটে যাবে।’’