ফাইল চিত্র
বৈধ কাগজপত্রহীন পুলকার ধরপাকড় শুরু করল মহকুমা (আসানসোল) পরিবহণ দফতর। মঙ্গলবার সকাল থেকে অভিযান শুরু হয়।
অভিযান শুরুর পরেই পুলকার মালিকদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা অতিরিক্ত জেলাশাসক (পরিবহণ) প্রশান্ত মণ্ডলের কাছে গিয়ে নথি তৈরির জন্য আরও সময় দেওয়ার আর্জি জানান। কিন্তু প্রশাসন সূত্রে খবর, এই আর্জিতে সাড়া দেওয়া হয়নি। পরিবহণ দফতর ওই পুলকারগুলির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে।
জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের অভিযোগ, আসানসোলে ১,১০০টি-সহ জেলায় প্রায় ২,৭০০টি পুলকার চলে। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও স্কুলের পুলকারগুলি নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। মূলত ব্যক্তি মালিকানাধীন পুলকারগুলির বিরুদ্ধে কর ফাঁকি, বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ না নেওয়া, চালকদের ‘লাইসেন্স’ না থাকার মতো অভিযোগ রয়েছে।
এর পরে দফতর পুলকার মালিকদের জন্য সাধারণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে বৈধ কাগজপত্র বানানোর কথা জানায়। পরিবহণ আধিকারিকদের দাবি, পুলকার মালিকদের একাংশ ঠিক সময়ে কাগজপত্র তৈরি করলেও অনেকেই তা করেননি। মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক (আসানসোল) তরুণ দত্ত বলেন, ‘‘এ দিন পাঁচটি পুলকার ধরা হয়েছে। এগুলির কাগজপত্র নেই। লাগাতার এই অভিযান চলবে।’’
এ দিকে, অভিযান প্রসঙ্গে ‘আসানসোল পুলকার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক হেমন্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলকারগুলির বৈধ কাগজপত্র থাকা উচিত। আমরা এ বিষয়ে অবশ্যই নজর রাখব।’’ জেলা পরিবহণ আধিকারিক পুলকরঞ্জন মুন্সী বলেন, ‘‘এই অভিযানের লক্ষ্য, শুধু রাজস্ব বৃদ্ধি নয়। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা রক্ষা করাটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এর জন্য পুলকারগুলির বৈধ কাগজপত্র থাকা ও গাড়ির ফিটনেস বজায় রাখাটা অত্যন্ত জরুরি।’’
কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলকার মালিকদের একাংশের দাবি, এই মুহূর্তে পড়ুয়া পিছু পাঁচশো থেকে সাতশো টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়। বৈধ কাগজপত্র বানিয়ে গাড়ি চালাতে হলে পড়ুয়া পিছু ভাড়া দ্বিগুণ করতে হবে। অভিভাবকেরা সেই ভাড়া দিতে চাইবেন না। সে ক্ষেত্রে মার খাবে ব্যবসা।