ধর্মঘটে রাস্তা সচল রাখতে পদক্ষেপ

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাস মালিক সোমবার সংবাদমাধ্যমের কাছে বাস না নামানোর কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪২
Share:

৮ ও ৯ জানুয়ারি ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল। সোমবার আসানসোলে। —নিজস্ব চিত্র।

আজ, মঙ্গলবার থেকে দু’দিন ধর্মঘট। এই পরিস্থিতিতে জেলাকে সচল রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপে করার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা, খনিগুলি। বাড়তি বাস নামানোর কথা জানিয়েছে সরকারি পরিবহণ সংস্থা। বড়বাস এবং মিনিবাস সংগঠনগুলিও জানিয়েছে, তারা ধর্মঘটের বিপক্ষে। কিন্তু নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাস মালিক সোমবার সংবাদমাধ্যমের কাছে বাস না নামানোর কথা জানিয়েছেন। ফলে ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন নাগরিকদের একাংশ।

Advertisement

দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা জানিয়েছে, আসানসোল ও দুর্গাপুর জুড়ে ৭৪টি বাস চালানো হবে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম রায় বলেন, ‘‘মঙ্গল ও বুধবার সরকারি বাসের সঙ্গে বেসরকারি বাস মালিকদেরও রাস্তায় বাস নামাতে বলা হয়েছে। তা না হলে পদক্ষেপ করা হবে।’’ তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি বাস মালিকদের একাংশ জানিয়েছেন, এমনিতেই শিল্পাঞ্চলের রাস্তায় অবৈধ অটো ও টোটোর দাপটে তাঁদের নাভিশ্বাস উঠছে। অভিযোগ, সব জেনেও চুপ প্রশাসন। ফলে, ধর্মঘটের দু’দিন তাঁরা বাস রাস্তায় নামাবেন না। সেই সঙ্গে বেসরকারি বাস মালিকদের একাংশ জানান, ধর্মঘটে পর্যাপ্ত সংখ্যায় যাত্রী মেলে না। ফলে অযথা জ্বালানি পুড়িয়ে রাস্তায় বাস নামানোর পক্ষপাতী নন তাঁরা। যদিও আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় ও বড়বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রকাশ মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘আমরা ধর্মঘটের বিপক্ষে। মালিক ও কর্মীদের বাস চালানোর পরামর্শ দিয়েছি। বাকিটা তাঁদের বিষয়।’’

তবে নিরাপত্তা ও সরকারি অফিসে যাতে উপস্থিতি পর্যাপ্ত সংখ্যায় থাকে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। থাকছে কড়া পুলিশি পাহারা। বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন চত্বর ও বাজার এলাকার মতো অত্যন্ত জনবহুল এলাকার নজরদারিতে পুলিশের পাশাপাশি সরকারি আধিকারিকেরা উপস্থিত থাকবেন। অরিন্দমবাবু জানান, নাগরিক পরিষেবা সচল রাখতে সোমবার থেকে চার দিনের জন্য জেলার প্রতিটি দফতরের কর্মী, আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি, নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু, মাতৃত্বকালীন সমস্যা, এমন কিছু ক্ষেত্রে শর্তাধীনে ছুটি দেওয়া হবে। নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থাগুলিও। ইস্কো কর্তৃপক্ষ জানান, কারখানায় ঢোকার সব গেটেই সকাল থেকে শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন থাকবে। কয়লাখনিতেও বাহিনী মোতায়েন রাখার কথা জানিয়েছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ধর্মঘটের সমর্থনে রেল শহরের কোনও রকম পিকেট করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

যদিও সোমবার পর্যন্ত নাগরিকদের একাংশের আশঙ্কা, প্রশাসন যাবতীয় ব্যবস্থা করার কথা জানালেও শেষমেশ ধর্মঘটের সময়ে পথে নেমে কী পরিস্থিতি হয়, তা নিয়ে সংশয় কাটছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement