ফাইল চিত্র।
রাজ্যের ‘শস্যগোলা’ বর্ধমানে গিয়ে কৃষি-সহ একাধিক প্রশ্নে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে এক হাত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরী।
বর্ধমানের কানাইনাটশালে সেচ দফতরের বাংলোয় ‘পশ্চিমবঙ্গ পুর স্বাস্থ্য কর্মী ইউনিয়ন’-এর একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার সকালে অধীরবাবুর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবি নিয়ে আন্দোলনের আর্জি জানান। সাংসদ তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে তাঁর দাবি, ‘‘বর্ধমান বাংলার ‘ভাতঘর’। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১,৮৬৮ টাকা। এখানে সেই দামে কি সব চাষি ধান বিক্রি করতে পারছেন? অথচ, এখানে কিসান মান্ডি রয়েছে। তা নিয়ে ভাবতে হবে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকার সব চাষির ধান কিনতে উৎসাহী নয়। অথচ, ছত্তীসগঢ়ের সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের উপরে বোনাস দিয়ে ২,৫০০ টাকায় প্রতি কুইন্টাল ধান কিনছে।’’
রাজ্যের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প নিয়েও কটাক্ষ করেন অধীরবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘একটি বিমা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কত টাকা ‘প্রিমিয়াম’, কোন সংস্থা দায়িত্বে রয়েছে, তার কোনও হিসেব নেই। সবই ভাষণ চলছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে, চিকিৎসক নেই। সবাই দক্ষিণ ভারতে ছুটছেন। নিচুতলার স্বাস্থ্যকর্মীদের কথাও ভাবছেন না। অথচ, বিমার কথা বলছেন। কোথায় পাবেন এত টাকা?”
এ দিন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা অধীরবাবুকে জানান, রাজ্যের ১২৬টি পুরসভায় প্রায় দশ হাজার কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মাসে বেতন মাত্র ৩,১২৫ টাকা। এ নিয়ে বারবার আন্দোলন করেও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তারও দাবি তুলেছেন। অধীরবাবু তাঁদের বলেন, “দাবিদাওয়া নিয়ে আমরা একমত। প্রয়োজনে আদালতে দ্বারস্থ হব।’’
খাদ্য দফতরের সূত্রে জানানো হয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে পাঁচ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কিসান মান্ডি ছাড়াও নানা শিবির করে ধান কেনা হচ্ছে। জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইসমাইলের বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকার চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনছে। স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা বহু মানুষই পাচ্ছেন। বিরোধীরা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।’’