বর্ধমানের রাস্তায় বালির গাড়ি। বুধবার সকালে। নিজস্ব চিত্র
রেল উড়ালপুলের সংযোগকারী রাস্তা কালনা রোড ছুঁতেই শুরু হয়ে যায় বর্ধমানের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই রাস্তায় রয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের আবাসন। সে রাস্তা ধরেই রাতভর বাড়তি বালি বোঝাই গাড়ি যাচ্ছিল। বুধবার ভোরে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে ট্রাকে বাড়তি বালি নিয়ে যাওয়ার ঘটনা চোখে পড়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুপ্রিয় অধিকারীর। দেহরক্ষীদের সাহায্যে বেশ কয়েকটি ট্রাক আটকে জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (আরটিও) অনুপম চক্রবর্তীকে খবর দেন তিনি। তার পরে বর্ধমান থানার পুলিশের সঙ্গে কালনা রোডে অভিযান চালাল পরিবহণ দফতর।
অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, ‘‘রাস্তা দিয়ে ওভারলোড ট্রাক যাচ্ছে দেখে আটকানো হয়। তার পরে আরটিও-কে খবর দেওয়া হয়।’’ পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা যায়, ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আবাসনের সামনের রাস্তায় অতিরিক্ত জেলাশাসক অন্য দিনের মতো প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। তখনই তাঁর পাশ দিয়ে কয়েকটি বালি বোঝাই ট্রাক যায়। সেগুলিতে ‘ওভারলোডিং’ ধরা পড়ে যায় তাঁর চোখে।
স্থানীয় কয়েক জনের দাবি, প্রশাসনের আবাসনের সামনে দেহরক্ষীদের নিয়ে পরপর কয়েকটি ট্রাক আটকে নথি দেখেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। তিনি আরটিও-কে ফোন করলে, খবর যায় মোটর ভেহিক্যাল ইনস্পেক্টরের কাছে। তার পরে কালনা রোডে অভিযান চলে। পরে বর্ধমান থানার সঙ্গে যৌথ ভাবে অভিযান চালানো হয়। আরটিও বলেন, ‘‘অভিযানে ১৯টি ট্রাক আটক করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করাহয়েছে। ট্রাকগুলি নবাবহাট পার্কিংয়ে রাখা হয়েছে।’’
পরিবহণ দফতর সূত্রে দাবি, পূর্বস্থলীতে গুলি চলার পরে বেশ কিছু দিন ‘ওভারলোড’ আটকাতে অভিযান বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ফের তা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেও বিভিন্ন জায়গায় অভিযান হয়।জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, অভিযান এড়াতেই কালনা রোডদিয়ে ওই ট্রাকগুলি ছুটছিল। কিন্তুশেষ পর্যন্ত প্রশাসনের কর্তার চোখে পড়ে যায়। অভিযানে থাকা এককর্মীর দাবি, ‘‘ট্রাকগুলি আটকানোর সময়ে কোনও চালক বা খালাসি কোনও রকম আপত্তি তোলারসুযোগ পাননি।’’