সম্প্রতি আসানসোলের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের মধ্যে লতিফের নাম উঠে আসে। —ফাইল চিত্র।
একই শর্তে আবার অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়ল গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের। শনিবার লতিফের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু ৪ দিনের পরিবর্তে ৭ দিনে এক বার করে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আবেদন করেন। তখন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জামিনে আছেন। এটাই যথেষ্ট। অনেকটা স্বস্তিতে আছেন উনি (লতিফ)।’’
এই নিয়ে তৃতীয় বার আদালতে হাজিরা দেন গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত লতিফ। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় লতিফের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না সিবিআই। এর পরে সুপ্রিম কোর্টে সম্ভাব্য শুনানির দিন রয়েছে আগামী ৩ জুলাই। লতিফের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলকে ৭ দিনে এক বার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। তখন বিচারক জানান কেস ডায়েরি দেখে রায় দেবেন। মাঝে প্রায় ৫০ মিনিট শুনানি স্থগিত ছিল। দ্বিতীয় দফায় শুনানি শুরুর পর কেস ডায়েরি দেখে বিচারক জানান প্রচুর তথ্য পাওয়া মিলেছে। তিনি জামিনে আছেন সেটাই যথেষ্ট। ৪ দিন অন্তর তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ জুন। এ ছাড়া বিচারক এ-ও জানান, তিহাড় জেলে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যেতে পারবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আসানসোলের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের মধ্যে লতিফের নাম উঠে এসেছে। লতিফের গাড়িতে যাওয়ার সময়ই কয়লা মাফিয়া রাজু খুন হন বলে তথ্য উঠে আসে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১২-’১৩ সালে লতিফের ‘উত্থান’। গরু পাচারকাণ্ডে এনামুলের পরই দ্বিতীয় অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। বীরভূমের ইলামবাজারে আব্দুলের বিলাসবহুল বাড়ি, অফিস রয়েছে। ওই অফিস থেকে গরু পাচারের কাজ কারবার চলত বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। যদিও নিজেকে পাথর ব্যবসায়ী বলেও দাবি করে এসেছেন লতিফ। এনামুলের গ্রেফতারির পরই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। এক সময় বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছিলেন।