ভোট প্রশিক্ষণে গরহাজির, চিঠি

নির্বাচনী প্রশিক্ষণে গরহাজির থাকায় বর্ধমান জেলায় দেড় হাজারেরও বেশি ভোটকর্মীকে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরাল জেলা নির্বাচক দফতর তথা জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল মহকুমায় গরহাজির ভোটকর্মীদের আগেই ওই চিঠি ধরানো হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৬ ০২:০৫
Share:

নির্বাচনী প্রশিক্ষণে গরহাজির থাকায় বর্ধমান জেলায় দেড় হাজারেরও বেশি ভোটকর্মীকে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরাল জেলা নির্বাচক দফতর তথা জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল মহকুমায় গরহাজির ভোটকর্মীদের আগেই ওই চিঠি ধরানো হয়েছিল। শুক্রবার বর্ধমান সদর, দুর্গাপুর, কালনা ও কাটোয়া মহকুমায় প্রশিক্ষণ নিতে হাজির ছিলেন না এমন ভোটকর্মীদের কারণ দর্শানোর চিঠি ধরাল জেলা প্রশাসন।

Advertisement

আগামী ১১ এপ্রিল বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলের ৯টি বিধানসভায় ভোট হবে। গ্রামীণ এলাকার ১৬টি বিধানসভার নির্বাচন হবে ২১ এপ্রিলে। জেলার ২৫টি বিধানসভায় মোট ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ৬৭৮৪টি। এর মধ্যে ৩৫১টি বুথে ভোট পরিচালনা করবে মহিলারা। গত লোকসভা নির্বাচনেও বর্ধমান জেলায় ৫০টি বুথে মহিলারা ভোট পরিচালনা করেছিলেন। এ বারে প্রতিটি বুথে পাঁচ জন ভোট কর্মীর পাশাপাশি অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ কর্মীকে ভোটের কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে। সেই হিসেবে জেলা নির্বাচক দফতর ৩৪ হাজার ৭৮১ জন ভোট কর্মীকে প্রশিক্ষণের চিঠি দিয়েছিল।

জেলার গ্রামীণ এলাকায় গত ১৯ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধমান, কাটোয়া ও কালনাতে প্রশিক্ষণ হয়। এর আগে আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমাস্তরেও ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন বা নির্বাচক দফতর। সেখানে দেখা গিয়েছে, বর্ধমান সদরে ৪৫২ জন, কালনাতে ৬৩০ জন, কাটোয়াতে ১৮৪ জন, আসানসোলে ১৫৯ ও দুর্গাপুরে ২৪২ জন অর্থ্যাৎ মোট ১৬৬৭ জন ভোটকর্মী গরহাজির ছিলেন। আসানসোল মহকুমার গরহাজির ভোটকর্মীদের আগেই কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। শুক্রবার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব বিশ্বাস বলেন, “বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া ও দুর্গাপুরে প্রশিক্ষণে গরহাজির ভোটকর্মীদের আজই কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে। দু’দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।” বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “সঠিক জবাব না পেলে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশিক্ষণের তিনদিনই গরহাজির ছিলেন, এমন ভোটকর্মীদেরই কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মীর কাছ থেকে সঠিক জবাব না পেলে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে আসা হবে। সেখানে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে, চাকরি পর্যন্ত চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement