Katwa

ভাগীরথীতে ঝাঁপ দিয়েও ‘বাঁচাতে’ পারলেন না মা, চোখের সামনেই জলে তলিয়ে গেলেন ছেলে

জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানা এলাকার ভাটাকুল গ্রামের বাসিন্দা বিজয় রবিবার সকালে মা এবং তাঁর দুই মাসিকে সঙ্গে নিয়ে কাটোয়ার ভাগীরথী বাজার ঘাটে এসেছিলেন পুণ্যস্নান সারতে। সেখানেই তলিয়ে গেলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪ ২২:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাকে নিয়ে পুণ্যস্নান করতে এসে ভাগীরথীর জলে তলিয়ে গেলেন এক যুবক। নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও ছেলেকে দল থেকে টেনে তুলতে পারেননি মীরা কুণ্ডু নামে এক মহিলা। ডুবুরি নামিয়েও বিজয় কুণ্ডু নামে ওই যুবককে উদ্ধার করা যায়নি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী খোঁজ চালাচ্ছে যুবকের। চোখের সামনে এ ভাবে ছেলের তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না মা মীরা। ভাগরথীর ঘাটেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

Advertisement

জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানা এলাকার ভাটাকুল গ্রামের বাসিন্দা বিজয় রবিবার সকালে মা এবং তাঁর দুই মাসিকে সঙ্গে নিয়ে কাটোয়ার ভাগীরথী বাজার ঘাটে এসেছিলেন পুণ্যস্নান সারতে। শ্রীচৈতন্যদেবের গল্প শুনেই বিজয়ের মাসি দীপালিদেবীর ইচ্ছে হয়েছিল ভাগীরথীতে স্নান করবেন। সেই বাসনা পূরণ করতে চেয়েছিলেন ২২ বছর বয়সি বিজয়। সেই স্নান করতে গিয়েই নদীর জলে তলিয়ে গেলেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মীরা প্রথমে স্নান করতে নামেন জলে। তার পর তিনি উঠে আসতে বিজয় নামেন। ঘাটে বসে ছেলের স্নান করা দেখছিলেন মীরাদেবী। আচমকাই দেখেন জলের নীচে তলিয়ে যাচ্ছেন বিজয়। দু’হাত তুলে বাঁচার চেষ্টা করছেন তিনি। ছেলের এই পরিণতি দেখে এক মুহুর্ত সময় নষ্ট না করে ঝাঁপ দেন ভাগীরথীতে। কিন্তু তিনিও গভীর জলে হাবুডুবু খেতে শুরু করেন।

Advertisement

যা দেখে সে সময় ঘাটে থাকা স্থানীয়েরা জল থেকে টেনে তোলেন মীরাকে। তবে বিজয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতরের বাহিনী। ডুবুরি নামিয়ে বিজয়ের সন্ধান চালানো হয়। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি বিজয়ের। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ডুবে যাওয়া যুবককে খুঁজে চলছে উদ্ধারকারী দল।

ওই যুবকের পরিবার সূত্রে খবর, বিজয় বিএসসি পাশ করে কম্পিউটার প্রশিক্ষকের কাজে করছিলেন। ইচ্ছে ছিল সরকারি চাকরি করার। সেই জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তিনি। বাবা বিকাশ কুণ্ডু ও মা মীরাদেবীর একমাত্র সন্তান বিজয়। চালকলে শ্রমিকের কাজ করেন বিকাশ। অভাবের সংসারে বিকাশ কখনও ছেলের পড়াশোনার ব্যাপারে অবহেলা করেননি। তবে বিজয়ও ছোটবেলা থেকে মেধাবী ছিলেন। সেই ছেলের এমন ভাবে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের কেউই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement