জমি থেকে জল বার করার চেষ্টা করছেন এক কৃষক। নিজস্ব চিত্র
বর্ষার প্রথম ধাক্কাতেই শুরুতেই জলমগ্ন হয়ে গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জ ব্লকের নূপুর গ্রাম। রানিগঞ্জের রাজাবাঁধের জল সেচনালা দিয়ে গিয়েছে নূপুর গ্রামের পাশ দিয়েই। দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার পর ওই নালা মিশেছে দামোদরের মোহনায়। সেই সেচনালা ভেসে গিয়েই জলের তলায় চলে গিয়েছে ওই গ্রামের প্রায় বিঘের পর বিঘে জমি।
এর আগেও ওই সেচনালা বারবার প্লাবিত হয়ে ডুবে গিয়েছে চাষের জমি। এ বারও সেই একই পরিস্থিতি। কৃষকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই সেচনালা সংস্কার না হওয়াতেই বারবার এই ঘটনা ঘটছে। সেচনালার পাশের ওই জমিতে ঢেঁড়স, বরবটি, লাউ, শসা-সহ নানারকম শাকসবজি চাষ হয়ে থাকে। তা জলের তলায় চলে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে কৃষকরা। ফসল বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন তাঁরা।
ওই গ্রামের কৃষক মলয়কান্তি মণ্ডলের কথায়, ‘‘সেচনালা সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই রানিগঞ্জের বিডিও-কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। নূপুর গ্রামের সেচনালার সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাইছি আমরা।’’ স্থানীয় বল্লভপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা প্রসাদের আশ্বাস, ‘‘সেচ খালের কিছুটা সংস্কার হয়েছে। এ বার আরও ভাল ভাবে সংস্কার করা হবে।’’