অস্ত্রোপচারের পরে চিকিৎসকেরা। নিজস্ব চিত্র।
পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন এক যুবক। সন্দেহ হওয়ায়, চিকিৎসকেরা ‘আল্ট্রাসনোগ্রাফি’ করাতেই চমকে ওঠেন। খাদ্যনালি বন্ধ করে দিয়েছে দু’টি মস্ত টিউমার। অস্ত্রোপচার করে তাঁরা বার করে আনেন মোট সাড়ে ২৫ কেজি ওজনের দু’টি টিউমার।
সোমবার রাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার করা হয়। বুধবার বর্ধমান মেডিক্যালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘সোমবারই জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বীরভূমের খয়রাশোলের বাসিন্দা বছর আটত্রিশের জগবন্ধু হালদার। চিকিৎসকেরা তৎপরতার সঙ্গে রোগ নির্ণয় করে দ্রুত অস্ত্রোপচার করেন। সাম্প্রতিক কালে এখানে সাড়ে ২৫ কেজি ওজনের টিউমারের অস্ত্রোপচার হয়নি। রোগী সুস্থ রয়েছেন।’’ অস্ত্রোপচার করেন বর্ধমান মেডিক্যালের শল্য চিকিৎসক শুভ্রজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন আরও চার জন চিকিৎসক ও এক জন অ্যানাস্থেটিস্ট।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মলত্যাগ করতে না পারা এবং পেটে যন্ত্রণার সমস্যা নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেন ওই যুবক। পরীক্ষার পরে, দ্রুত অস্ত্রোপচারের পরে সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। সোমবার রাত দেড়টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়।
শল্য চিকিৎসক শুভ্রজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশাল আকারের দু’টি টিউমার জগবন্ধুর খাদ্যনালি বন্ধ করে দিয়েছিল। সে কারণেই সমস্যা দেখা দেয়। অস্ত্রোপচারের পরে, তিনি সুস্থ আছেন। তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে তিনি তরল খাবার খেয়েছেন।’’ রোগীর এক আত্মীয় মৃত্যুঞ্জয় হালদার বলেন, ‘‘ওঁকে নিয়ে আমরা খুব চিন্তায় ছিলাম। চিকিৎসকদের কাছে আমরা ঋণী।’’