বাঁশ দিয়ে পেটানোর দৃশ্য
এক যুবককে রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে পেটাচ্ছেন এক জন। বেধড়ক মারের চোটে ওই যুবক উঠে পালানোর চেষ্টা করলেও আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন তাঁকে ধরে নিয়ে আসেন। তার পর আবার শুরু হয় বাঁশ দিয়ে পেটানো। শনিবার আসানসোল পুরনিগম এলাকার ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই হইচই শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ওই যুবককে শাস্তি দেওয়ার নামে বাঁশ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।
কুলটির নিয়ামতপুর ৪ নম্বর ইসিএল কলিয়ারি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সোহন কইরি নামে ওই যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চুনচুন রাউত নামে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কিছু দিন আগে অন্য পাড়ার একটি ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল সোহনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার কথা তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট ধর্মদাস সেনগুপ্তকে জানানো হয়েছিল। তার পরেই ‘শাস্তি দিতে’ সোহনকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছেন চুনচুন।
বাঁশ দিয়ে পেটানোর ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই যোগাযোগ করা হয় চুনচুনের সঙ্গে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলেই খবর। ঘটনার ভিডিয়োটি টুইটারে পোস্ট করে শাসকদলকে বিঁধেছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘‘আইনের শাসন নেই আসানসোলে। তাই শাসকদলের নেতারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন।’’
অন্য পাড়ার এক জন ছেলেকে মারধর করার জন্য সোহনকে শাস্তি দিতেই যে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন ধর্মদাস। তিনি বলেন, ‘‘আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত হয়নি। যুবকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
তবে চুনচুনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কি না, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি তিনি। কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ ইন্দ্রানী মিশ্র চট্টোপাধ্যায়ও।