আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে প্রতিবাদ। ছবি: পিটিআই।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার পথে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কলেজ স্কোয়্যার থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত মিছিলের পর সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন তাঁরা। রাতভর চলে অবস্থান। শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে অবস্থান মঞ্চ ছাড়েন জুনিয়র ডক্টর্স’ ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডে ন্যায়বিচার চেয়ে তাঁরা পরে পরবর্তী কর্মসূচির কথা ঘোষণা করবেন।
বৃহস্পতিবার আরজি কর-কাণ্ডের পাঁচ মাস পূর্ণ হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে কলেজ স্কোয়্যার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল জুনিয়র ডক্টর্স’ ফ্রন্ট। মিছিলে হাঁটেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো, আসফাকুল্লা নাইয়া প্রমুখ। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবারই আরজি কর-কাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। সিবিআই এই ঘটনায় এক জনকেই অভিযুক্ত হিসাবে দেখিয়েছে। আরজি করের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, চার্জশিটে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষেও সওয়াল করা হয়েছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি এই মামলায় সাজা ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের পর কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল শুরু হয়। শ্যামবাজারে পৌঁছে অবস্থানে বসেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। অনেক সাধারণ মানুষও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। দেবাশিস অবস্থান মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘১৮ তারিখ রায় ঘোষণা করবে আদালত। বোঝাই যাচ্ছে, সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সিভিককে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। সে যদি জড়িত থাকে, সাজা পাক। কিন্তু এটাই তো পুরো বিষয় নয়। যারা এই ঘটনাকে সুইসাইড বলে চালাতে চাইল, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করল, আরও যারা এই ঘটনায় জড়িত, সিএলএসএফ রিপোর্ট, ডিএনএ পরীক্ষা-সহ বিভিন্ন রিপোর্টের যে অসঙ্গতি, তার তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে। যত দিন তা না হচ্ছে, তত দিন ন্যায়বিচার পেয়েছি বলে আমরা মনে করছি না। আমাদের আন্দোলন তত দিন চলবে।’’