থমকে দুর্গাপুরমুখী লেন। নিজস্ব চিত্র।
পর পর ধাক্কা খেয়ে একটি ট্যাঙ্কার উল্টে গিয়ে তা থেকে গুঁড়ো সাবান তৈরির পিচ্ছিল তরল উপকরণ ছড়িয়ে পড়ায় বিপত্তি ঘটল দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ বর্ধমানের মিরছোবার মোড়ে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের তেলিপুকুর উড়ালপুলের মুখে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই ট্যাঙ্কারের পিছনে ঝাড়খণ্ডের কোডারমার এক নবদম্পতির গাড়ি ধাক্কা মারে। আবার ওই গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে অন্য একটি ট্রাক। ট্যাঙ্কারের চালক আফজল হোসেনের দাবি, ট্রাকটি প্রথমে তাঁর ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মারলেও, তিনি সামলে নেন। কিন্তু পরে গাড়িটি ধাক্কা মারায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁর ট্যাঙ্কার উল্টে যায়। ট্যাঙ্কার থেকে পিচ্ছিল তরল উপকরণ ছড়িয়ে যায় দুর্গাপুরমুখী লেন ও পাশের সার্ভিস রোডে।তার জেরে বিকেল পর্যন্ত যান চলাচল ব্যাহত হয়।
বর্ধমান থানার পুলিশ ও দমকল গিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের দুর্গাপুরমুখী লেন বন্ধ করে দেয়। গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। উল্টে থাকা গাড়িগুলিকে তোলার পরে উড়ালপুলের কলকাতামুখী লেন দিয়ে যাত্রিবাহী গাড়িগুলিকে পাশ করানো হয়। তবে আটকে দেওয়া হয় ট্রাক। দুপুরের পরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তার পিচ্ছিল অংশে ‘ফ্ল্যাই অ্যাশ’ ছড়িয়ে দেওয়ার পরে বিকেল থেকে দুর্গাপুরমুখী লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ধাক্কা খাওয়া নবদম্পতির গাড়িটি ট্যাঙ্কার আর ট্রাকের মাঝে আটকে গেলেও কারও আঘাত লাগেনি। সদ্য বিবাহিত ওমশঙ্কর রাম বলেন, “শনিবার আমাদের বিয়ে হয়েছে। হুগলির শ্রীরামপুর থেকে ফিরছিলাম। দুর্ঘটনার পরে চালক উধাও হয়ে যায়। আমরা এক শিশু-সহ ছ’জন গাড়ির জানলা দিয়ে বাইরে আসি। কারও আঘাত লাগেনি।’’
বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলর রাসবিহারী হালদার বলেন, “জল-বালি দিয়ে পরিষ্কার করা হলেও রাস্তা পিচ্ছিল ছিল। গাড়ি যাতায়াতে ঝুঁকি থাকায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। দুপুরে তারা রাস্তায় ‘ফ্ল্যাই অ্যাশ’ ছড়ানোর পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’’
কিন্তু বিকেলে ফের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের দুর্গাপুরমুখী লেনেই বিপত্তি বাধে। একটি গ্যাসের ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে ল্যাংচার দোকানের এক পাশে গিয়ে ধাক্কা মারে। তার আগেই দোকানের কর্মী, ঝালমুড়ি বিক্রিতা ও ক্রেতারা সরে যাওয়ায় বড়সড় দুর্ঘটনাএড়ানো গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছুক্ষণের জন্য যানজট দেখা দিলেও পরে দুর্গাপুরমুখী লেনটিকে আটকে দিয়ে পাশের লেন দিয়ে গাড়ি-ট্রাক বের করে দেওয়া হয়।