—ফাইল চিত্র।
রীতিমত ব্লপ্রিন্ট তৈরি করে ইটভাটা মালিককে গুলি করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল এক ‘দাগী দুষ্কৃতী’। ধৃতের নাম ফুলবাবু শেখ ওরফে তোতা। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার পুলিশ চেন্নাইয়ের টিনুভাল্লুর জেলার পুনামাল্লি থানার শক্তিনগর এলাকায় একটি ডেরায় হানা দিয়ে তাঁকে পাকড়াও করে। পুলিশের দাবি, কেতুগ্রামের ইটভাটার মালিক মির্জা সাহিদুল্লা ওরফে বটু মির্জাকে গুলি করে ঘটনায় অন্যতম মাস্টার মাইন্ড ফুলবাবুই। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে এ রাজ্যে নিয়ে আসে কেতুগ্রাম থানার পুলিশের তদন্তকারী দল। শনিবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামের রাজুর গ্রামের কাছে বাদশাহী রোডের পাশেই রয়েছে মির্জা সাহিদুল্লা ওরফে বটু মির্জার ইঁটভাটা। গত ১৩ অগস্ট সন্ধ্যায় দু’টি বাইকে চড়ে আসা চার দুষ্কৃতী এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে সাহিদুল্লাকে খুন করে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে থানায় একটি এফআইআর রুজু করেন নিহত ব্যবসায়ীর ছেলে মির্জা হিদায়তুল্লাহ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পারে, দু’টি বাইকে চড়ে চার দুষ্কৃতী খাঁজি গ্রাম থেকে রাজুরে আসে। শুটআউট করেই তারা বাইকে চেপে একই রাস্তা ধরে পালিয়ে যায়। এর পর পুলিশ বিভিন্ন নানা ভাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, খাঁজি গ্রামের বাসিন্দা ফুলবাবু শেখ এই খুনে ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। ‘দাগী দুষ্কৃতী’ হিসাবে পুলিশের খাতায় ফুলবাবুর নাম রয়েছে। এর আগে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ ফুলবাবুর নামে আছে বলেও পুলিশ জানতে পারে। পাশাপাশি পুলিশ এ-ও জানতে পারে, খুনের ঘটনার নেপথ্যে অন্য আর এক জন কেউ রয়েছেন, যিনি ইটভাটা মালিককে খুনের জন্য সুপারি কিলার জোগাড়ের দায়িত্ব দিয়েছিল ফুলবাবু শেখের উপর। ভাড়াটে খুনি জোগাড় এবং খুনের ব্লুপ্রিন্ট ফুলবাবুরই তৈরি বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে মূল ব্যক্তি ও সুপারি কিলারদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।