হোটেলে বিক্ষোভ, নালিশ ভাঙচুরের

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই হোটেলে সন্ধ্যা নামলেই অসামাজিক কাজকর্ম শুরু হয়। তার আঁচ এসে পড়ে রাস্তাতেও। বহিরাগত যুবক-যুবতীরা আসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ০১:২৭
Share:

ভাঙচুরের চিহ্ন। নিজস্ব চিত্র

অসামাজিক কাজকর্ম চলার অভিযোগে দুর্গাপুরের বিধাননগর স্টিল পার্কের একটি হোটেলে ভাঙচুর চালাল কিছু লোকজন। রবিবার রাতে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা সেখানে বিক্ষোভ দেখান। এর পরেই ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। ওই বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ কয়েক বার হোটেলে অভিযান চালালেও কোনও ফল হয়নি। হোটেলের মালিক অবশ্য অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ মানতে চাননি।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই হোটেলে সন্ধ্যা নামলেই অসামাজিক কাজকর্ম শুরু হয়। তার আঁচ এসে পড়ে রাস্তাতেও। বহিরাগত যুবক-যুবতীরা আসেন। প্রকাশ্যে রাস্তার উপরে মদ্যপান শুরু হয়। ভিতরে অসামাজিক কাজকর্ম হয় বলেও দাবি ওই বাসিন্দাদের। তাঁদের আরও দাবি, হোটেলের মালিকের কাছে পাড়ার লোকজন অভিযোগ জানালেও ফল হয়নি। এর পরে পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ কয়েক বার অভিযান চালায়। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। এমনকি, এর পরে হোটেল মালিককে অভিযোগ জানাতে গেলে উল্টে তিনি পুলিশের ভয় দেখান বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে হোটেল মালিকের যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই বাসিন্দারা। যদিও পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

রবিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা হোটেলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পাড়ার সুস্থ পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। এই সময়ে কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে হোটেলে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ আসে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশের তরফে অভিযোগের প্রমাণ চাওয়া হয়। হোটেলের ঘরে তল্লাশি চালানোর দাবি জানান ওই বাসিন্দারা। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

হোটেলের মালিক অমিত মণ্ডল অবশ্য অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেন, কালীপুজোর চাঁদা নিয়ে মতান্তরের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপেন মাজি বলেন, ‘‘ব্যবসার নামে পাড়ার পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement