—প্রতীকী চিত্র।
অবৈধ ভাবে কয়লা খনি থেকে কয়লা সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ কয়েক জনের চাপা পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বুধবার রাতে এই খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল-রানিগঞ্জ এলাকায়। যদিও এই ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ইসিএল কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশ সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি। পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক ঘটনা প্রসঙ্গে ইসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন। কিন্তু আসলে ঘটনাটি কী এবং ঠিক কত জন এখনও পর্যন্ত চাপা পড়ে আছেন বা আদৌ চাপা পড়েছেন কি না তা নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, রানিগঞ্জে ইসিএলের কুনুস্তরিয়া এলাকার নারায়ণকুড়ি খোলামুখ কয়লাখনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার বিকেলে নারায়ণকুড়ি খনিতে ধস নামে বলে স্থানীয়দের দাবি। সেই ধসেই চার থেকে পাঁচ জন চাপা পড়েন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বংশগোপাল চৌধুরী। সিপিএম নেতা বংশগোপালের দাবি আরও চার জন নিখোঁজ রয়েছে বলে তাঁর কাছে খবর এসেছে। রানিগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করছেন তাঁদের পরিবারের লোকেরা চাপা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারী দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলেই জানা যাবে আসল ঘটনা কী।
অন্যদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে নিখোঁজ ব্যাক্তিদের বাড়িতে যান বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর সামনে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের লোকেদের কান্নাকাটিও করতে দেখা গিয়েছে। আগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘‘পেটের জ্বালায় গ্রামের মানুষজন দু’-চার বস্তা কয়লা বের করে বিক্রি করে সংসার চালান, রাজ্য সরকার তো কজের ব্যবস্থা করেনি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা এই কাজ করে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এখন স্থানীয় জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। প্রশাসন দেখি কী ব্যবস্থা নেয়। না হলে আরও বড় আন্দোলন হবে।’’