সালানপুরে তিন কৃতীর সঙ্গে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা । নিজস্ব চিত্র।
বিশেষ কৃতিত্বের জন্য শুক্রবার কন্যাশ্রী দিবসের দিন রাজ্য নারী ও শিশুবিকাশ এবং সমাজকল্যাণ দফতর থেকে সালানপুর ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তিন পড়ুয়াকে সংবর্ধিত করা হল। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শুভেন্দু বসু বলেন, “এই জেলায় প্রথমবার কন্যাশ্রী দিবসে পড়ুয়ারা বিশেষ কৃতিত্বের জন্য সংবর্ধিত হল। ভবিষ্যতে জেলার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশাবাদী।”
সালানপুর ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রী দিবসে সংবর্ধিত তিন কৃতী অদ্রিজা সরখেল, রূপালি বাউরি ও মোনালাসি মারান্ডি চিত্তরঞ্জন মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। অদ্রিজা দশম, রূপালি ও মোনালিসা নবম শ্রেণিতে পড়ে। অদ্রিজা জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে ২০১৯ সাল থেকে অনূর্ধ্ব ১৭ স্তরে গোলরক্ষক হিসেবে খেলছে। আর রূপালি ও মোনালিসা কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে খেলছে। তারা দু’জন অনূর্ধ্ব ১৪ পর্বে জাতীয় বিদ্যালয় ও অনূর্ধ্ব ১৭ পর্বে জাতীয় মহিলা স্তরের ফুটবল খেলেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় সামগ্রিক ভাবে কন্যাশ্রীর নিরিখে স্কুলভিত্তিক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে সংবর্ধিত হয়েছে যথাক্রমে আসানসোলের সেন্ট মেরি গরোটি গার্লস হাইস্কুল, সালানপুরের আছড়া বলরাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কুলটির মিলাদ উর্দু উচ্চ বিদ্যালয়। জেলায় কলেজ স্তরে প্রথম আসানসোলের বিবি কলেজ। রানিগঞ্জ গার্লস কলেজ দ্বিতীয় ও আসানসোল গার্লস কলেজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সব থেকে বেশি কন্যাশ্রীর সুযোগ পাওয়ার সংখ্যার নিরিখে স্কুল ও কলেজকে সংবর্ধিত করা হয়। এ দিন জেলাশাসকের কার্যালয়ে স্কুল ও কলেজের প্রতিনিধিদের সংবর্ধিত করা হয়েছে। তিন জন পড়ুয়া সালানপুর ব্লকের হওয়ায় তাদের সালানপুর ব্লক অফিসে ডেকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। বিডিও (সালানপুর) তপনকুমার সরকার জানান, শংসাপত্র, স্মারক ও একটি করে গাছের চারা দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে তিন কৃতীকে। ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী ঘাষি কর্মকার।
দুর্গাপুরেও প্রশাসনের উদ্যোগে কন্যাশ্রী দিবস পালন করা হয়। ছিলেন মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে, পুরসভার মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) অঙ্কিতা চৌধুরী। ছাত্রীদের ‘মাস্ক’ ও হাতশুদ্ধি বিতরণ করেন মহকুমাশাসক। মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে থেকে মহকুমা প্রশাসন ও দুর্গাপুর পুরসভার যৌথ উদ্যোগে একটি ট্যাবলো উদ্বোধন করেন মহকুমাশাসক ও মেয়র পারিষদ (শিক্ষা)।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান, এ দিন তার কার্যালয় থেকে একটি ট্যাবলো প্রচারে বেরিয়েছিল। জেলার প্রতিটি ব্লক প্রশাসনও একই ভাবে ট্যাবলোয় কন্যাশ্রীর প্রচার চালিয়েছে। তিনি বলেন, “কন্যাশ্রীরা যাতে নানা ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করতে পারে, সে দিকে লক্ষ রেখে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মেয়েদের প্রতি বিশেষ ভাবে যত্ন নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।”