ফাইল চিত্র।
প্রায় দেড়শো ঠিকাকর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাঁরা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) ‘স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক’-এ (স্টিল তৈরির পরে পড়ে থাকা বর্জ্য লৌহ আকরিক যেখানে জড়ো করা হয়) কর্মরত ছিলেন। ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ওই ঠিকাকর্মীরা ‘সেভ স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক কন্ট্রাক্টর্স ওয়ার্কার্স কমিটি’ নামে যৌথ মঞ্চ গড়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
যৌথ মঞ্চ জানিয়েছে, গত ২৪ মার্চ ‘স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক’-এ কর্মরত মোট ১৪৭ জন ঠিকাকর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। স্ন্যাগ ব্যাঙ্ক কারখানার ২২টি ‘নোটিফায়েড এরিয়া’র অন্যতম। সাধারণ ঠিকাকর্মীরা সাধারণত, এই সমস্ত এলাকায় কাজ করতে পারেন না। কিন্তু ১৪৭ জন ওই বিশেষ এলাকায় কাজের অনুমোদনপ্রাপ্ত। ফলে, তাঁদের বিশেষ মর্যাদাও রয়েছে বলে দাবি। যৌথ মঞ্চের দাবি, এমন ঠিকাকর্মীদের লকডাউনের সময়ে কাজ না থাকার ‘অজুহাতে’ ছাঁটাই করা চলবে না।
যৌথমঞ্চের তরফে নিসার আহমেদ জানান, রোজগার বন্ধ হওয়ায় চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন ঠিকাকর্মীরা। তাঁরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে বৃহস্পতিবার থেকে ডিএসপি-র মেনগেট এলাকায় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন। আপাতত সাত দিন ধরে কর্মসূচি চলবে। উপযুক্ত পদক্ষেপ না করা হলে তাঁরা লাগাতার আন্দোলন করবেন বলে জানিয়েছেন। নিসার বলেন, ‘‘অরাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে আমরা আন্দোলন চালাচ্ছি। তবে সব শ্রমিক সংগঠনকে পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। স্ল্যাগ ব্যাঙ্কে কাজ না থাকলে ওই ঠিকা শ্রমিকদের কারখানার অন্য কোনও বিশেষ এলাকায় কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।’’
ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের জেরে কারখানায় উৎপাদনের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। ‘স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক’-এর কাজেও তার প্রভাব পড়ে। সেখানে কাজ ঠিকায় করানো হয়। সরাসরি কারখানা কর্তৃপক্ষ ‘স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক’-এর বিষয়টি দেখেন না বলে কারখানা সূত্রে জানানো হয়েছে। বহু চেষ্টা করেও এ দিন ঠিকা সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।