Bardhaman BDO

সরকারি দফতরে আইবুড়োভাত খেলেন কোন যুক্তিতে? জেলাশাসকের শোকজ় বর্ধমানের সেই বিডিওকে

শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক কে রাধিকা আয়ার গোটা বিষয়টি জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বর্ধমান ১ ব্লকের বিডিও রজনীশকে। এ ব্যাপারে বিডিওকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ১৮:২১
Share:

—ফাইল চিত্র

সরকারি দফতরে বসে আইবুড়োভাত খাওয়া সেই বিডিও রজনীশ যাদবকে শোকজ় করা হল। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক কে রাধিকা আয়ার গোটা বিষয়টি জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বর্ধমান ১ ব্লকের বিডিও রজনীশকে। এ ব্যাপারে বিডিওকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে রজনীশের আইবুড়োভাত খাওয়ার ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় (আনন্দবাজার অনলাইন সেটির সত্যতা যাচাই করেনি) বিডিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কাকলি তা-কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন, সে দৃশ্যও দেখা গিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে খবর ছিল, ১১ জুলাই বিয়ে বিডিওর। তাই ছুটিতে যাওয়ার আগে বুধবার দুপুরে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসেই তাঁকে আইবুড়োভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন সদস্যেরা। ভিডিয়োয় দেখা যায়, বিডিওকে মালা পরিয়ে দিচ্ছেন সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাঁকে ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করছেন।

সেই ভিডিয়ো নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাজ্যে শাসকদল এবং প্রশাসনের মাঝের রেখা এ ভাবেই মুছে ফেলা হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও বিষয়টি ‘সৌজন্য’ বলেই দাবি করছিলেন। কাকলির দাবি ছিল, “বিডিও মাত্র মাস তিনেক আগে এখানে এলেও, কাজের মাধ্যমে সবার মন জয় করেছেন। তাই পঞ্চায়েত সমিতির তরফে আইবুড়োভাতের আয়োজন করা হয়েছিল। আমি আশীর্বাদ করায় উনি প্রণাম করতে এসেছিলেন। পুরোটাই সৌজন্য।” আর পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানসেরও দাবি ছিল, “এটা বাংলার সংস্কৃতি। এর মধ্যে অন্যায় নেই।” বিতর্কের প্রেক্ষিতে বিডিওর জবাব, “সম্পর্কের খাতিরেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সমিতি। এক জন মাতৃসমা আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। পারিবারিক শিক্ষা থেকেই তাঁকে প্রণাম করেছি।”

Advertisement

তার পরেও সরকারি কার্যালয়ে কোন যুক্তিতে আইবুড়োভাত খাওয়ার আয়োজন করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শুধু তা-ই নয়, সরকারি দফতরে বসে কী ভাবে শাসকদলের এক নেত্রীকে তিনি প্রণাম করেছেন, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। এ বার রজনীশকে শোকজ় করে গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলেন জেলাশাসক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement