বাকিবুর রহমান। — ফাইল চিত্র।
ভুয়ো শিবির করে ভুয়ো চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার ভান করতেন বাকিবুর রহমান! প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ব্যবহার করা হত আধিকারিকদের সিল। এ ভাবে খাদ্য দফতরের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন বাকিবুর। বুধবার আদালতে হাজির করানো হয় রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বাকিবুরকে। সেখানে এমন দাবিই করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। যদিও বাকিবুরের আইনজীবী এই অভিযোগ মানেননি। ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুরকে।
রেশনে বণ্টনের জন্য প্রশাসন যে ধান কেনে, তার জন্য শিবির করা হয়। সেখানে কোঅপারেটিভ সোসাইটি, প্রশাসনিক আধিকারিক এবং কল মালিকদের উপস্থিতিতে কৃষকদের থেকে ধান কেনা হয়ে থাকে। ইডি সূত্রে খবর, শিবির না করে সরাসরি কৃষকদের থেকে কম দামে ধান কিনতেন বাকিবুর এবং তাঁর মতো মিল মালিকেরা। তার পর ভুয়ো সমবায় সমিতি, ভুয়ো শিবিরের নাম করে সেই চাল এমএসপি-তে (ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে) ভুয়ো কৃষকদের থেকে কিনেছে মিল গুলিই। অনেক ক্ষেত্রেই প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নিজেরাই আধিকারিকদের সিল ব্যবহার করে এই কাজ করতেন বলে দাবি ইডির।
ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুরের সঙ্গে যুক্ত একাধিক মিলে তল্লাশি চালিয়ে ১০৯টি সিল উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে চিফ ইন্সপেক্টর, ডিসি (এফ এন্ড এস) উত্তর ২৪ পরগনা, পার্চেস অফিসার ডিসি (এফ এন্ড এস) উত্তর ২৪ পরগনা-সহ একাধিক পদের নাম লেখা সিল পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই সিলগুলি বাকিবুরের লোকজনই ব্যবহার করতেন।
ইডির আইনজীবী ভাস্কর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ‘সমবায় সমিতির ছায়া’তেই এই দুর্নীতি হয়েছে। যদিও বাকিবুরের আইনজীবী আদালতে বাকিবুরকে নিরাপরাধ বলে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনও চাষি এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে অভিযোগ জানাননি।