শুভেন্দুকে একহাত নিলেন বৈশাখী। —ফাইল ছবি।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে এ বার ব্যাটন ধরলেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করেই সমাজমাধ্যমে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষের জবাব দিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘ভণ্ডামি আর ভাঁওতাবাজির থেকে ভাঁড়ামি ভাল।’’
নন্দীগ্রাম-অভিযান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে সওয়াল করেছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন। সেই প্রসঙ্গে তাঁকে ‘ভাঁড়’ বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ওই ভাঁড়েদের কথার কী গুরুত্ব রয়েছে!’’ এ বার তারই জবাব দিলেন বৈশাখী।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে কার গুরুত্ব বেশি? মমতা নাকি অধিকারী পরিবার? শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে বার বার সামনে এসেছে সেই প্রশ্ন। বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি শুভেন্দু আরও এক বার সেই প্রসঙ্গ তোলেন। মমতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘২০০৮ সালের ১৩ মার্চ তৃণমূল দলের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘শান্তিকুঞ্জ’ অর্থাৎ শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির চার তলায় একটি ঘরে রাত কাটিয়েছিলেন। পরের দিন সকালে ১৪ মার্চের গণহত্যার বর্ষপূর্তির দিন সকালবেলা কাঁথির শান্তিকুঞ্জ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোকুলনগরের অধিকারীপল্লি, যেখানে গুলি চলেছিল, সেখান গিয়ে মাটি সংগ্রহ করে কলকাতায় গিয়ে মিছিল করেছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাজার গরম করার জন্য এ সব করেছিলেন।’’
এর পরেই ‘শীতঘুম’ কাটিয়ে মাঠে নামেন মমতার একদা ঘনিষ্ঠ শোভন। ভিডিয়ো বার্তায় দাবি করেন, নন্দীগ্রামের ওই ঘটনার দিন তিনি নেত্রীর সঙ্গে ছিলেন। শিশির অধিকারীর বাসভবন শান্তিকুঞ্জে মমতার থাকার যে দাবি শুভেন্দু করেছেন, তা মিথ্যে। আনন্দবাজার অনলাইনকে শোভন বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা দলবদল করেছেন বলে সত্য ঘটনাকে বিকৃত করেছেন। সঙ্গে নীতি-নৈতিকতাও সব কিছু বিসর্জন দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আমি সেই সব ঘটনার সাক্ষী। আমি মিথ্যে বলতে পারব না।’’ এর পরেই শুভেন্দু তাঁকে ‘ভাঁড়’ বলে কটাক্ষ করেন, যার জবাব এ বার দিলেন বৈশাখী।