পার্থ চট্টোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন-ভাগ্য পরোক্ষ ভাবে ঝুলে রইল কলকাতা হাই কোর্টে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির পরে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বিচার ভবনে বিশেষ সিবিআই আদালতে জামিনের আবেদন করেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ। কিন্তু সেই জামিনের আবেদনের শুনানি কার এজলাসে হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জট। এই বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকছে সিবিআইয়ের মামলায় পার্থের জামিনের আবেদনের শুনানি। ৫ ডিসেম্বর বিচার ভবনে জামিনের মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে প্রথম গ্রেফতার হন পার্থ। ইডির মামলা কলকাতার বিচার ভবনে চলে। সিবিআইয়ের মামলা চলে আলিপুরের কোর্টে। ইডির আবেদন ছিল যে, পার্থের বিরুদ্ধে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের করা মামলারও শুনানি হোক বিচার ভবনে, যে হেতু মামলার ধরন একই রকম। সেই আবেদন মেনে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি এবং সিবিআইয়ের করা মামলার শুনানি শুরু হয় বিচার ভবনে একই এজলাসে। পরবর্তী কালে ইডির মামলা চলে যায় অন্য এজলাসে। সিবিআইয়ের মামলাও ওই এজলাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার আবেদন জমা পড়ে বিচার ভবনে। ইতিমধ্যে পার্থকে গ্রেফতার (শোন অ্যারেস্ট) করে সিবিআই। সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন চেয়ে বিচার ভবনে আবেদন করেন পার্থ।
হাই কোর্টের নির্দেশে বিচার ভবনের চারটি বিশেষ সিবিআই আদালতে মামলাগুলি ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এই ভাগ (ডিস্ট্রিবিউশন)-এর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা করেছেন জনৈক ব্যক্তি। সেই মামলা বিচারাধীন হাই কোর্টে। সেই কারণে সিবিআইয়ের গ্রেফতারির মামলায় জামিন চেয়ে পার্থ যে আবেদন করেছেন নিম্ন আদালতে, তা আপাতত ঝুলে রয়েছে।
অন্য দিকে, নিয়োগ মামলায় পার্থ-সহ পাঁচ জনের জামিন নিয়ে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে হাই কোর্টের দুই বিচারপতির মধ্যে। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলায় সকলের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। বিচারপতি অপূর্ব রায় সিংহের সেই জামিনের বিরোধিতার কারণে এই মামলার রায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে গিয়েছে। প্রধান বিচারপতি মামলাটি তৃতীয় বেঞ্চে পাঠাবেন। সেখানেই পার্থদের জামিন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।