পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল ইডি। বুধবার ইডির আইনজীবীকে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞার বেঞ্চের প্রশ্ন, “আপনাদের আনা অভিযোগে কত জন দোষী সাব্যস্ত হয়? এই হার কত? যদি এটা ৬০-৭০ শতাংশ হয়, তা হলে অন্তত বোঝা যায়। কিন্তু এই হার খুবই কম।”
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ। শীর্ষ আদালতে পার্থের আইনজীবী মুকুল রোহতগির সওয়াল, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নগদ অর্থ পাওয়া যায়নি। যাঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছিল, তিনি সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন বলে শীর্ষ আদালতে জানান রোহতগি। তা ছাড়া রোগতগি জানান, অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) মামলায় জেলবন্দি হিসাবে সর্বোচ্চ সাজার এক-তৃতীয়াংশ মেয়াদ পূরণ করে ফেলেছেন পার্থ। এই পরিস্থিতিতে পার্থের বয়সের কথা মাথায় রেখে তাঁকে জামিন দেওয়ার আর্জি জানান রোহতগি।
ইডির হয়ে আদালতে সওয়াল করেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তিনি পাল্টা সওয়ালে জানান, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছিল, সেই অর্পিতা পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’। তা ছাড়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে তাঁর আমলেই দুর্নীতি ছড়ায় বলে আদালতে দাবি করে ইডি।
দু’পক্ষের সওয়াল পর্বের পর বিচারপতি ভূঞা ইডির আইনজীবীকে বলেন, “যদি তিনি (পার্থ) অপরাধ করে না-থাকেন, তা হলে কী হবে? কত দিন তাঁকে আমরা জেলে রাখব। আড়াই-তিন বছর কম সময় নয়।”
আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন পার্থের আর্জির প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারে শীর্ষ আদালত।