ফাইল চিত্র।
সদ্য মন্ত্রিত্ব খোয়ানো বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় কি রাজনীতি ছেড়ে দিতে চান? তাঁর বৃহস্পতিবারের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে এই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ফেসবুকে বাবুল যা লিখেছেন, তার সারমর্ম হল— তাঁর গান সংক্রান্ত পোস্টে অনেক মানুষ অকুণ্ঠ ভালবাসা প্রকাশ করছেন। তাঁর রাজনৈতিক পোস্টে যাঁরা তীব্র এবং কটু আক্রমণ করেন, তাঁদেরও অনেকে সেই তালিকায় রয়েছেন। তাঁর মনে হচ্ছে, ওই মন্তব্যগুলি ‘দলমত নির্বিশেষে’ গায়ক বাবুলের উদ্দেশে লেখা। তাঁরা তাঁকে রাজনীতি ছেড়ে দিতে বলছেন এবং তাঁদের সেই পরামর্শ তাঁকে গভীর ভাবে ভাবাচ্ছে। তবে একই সঙ্গে তাঁর সংশয় রয়েছে, ‘‘আজ মন্ত্রী নেই বলে ছেড়ে চলে যাওয়াটা কি ঠিক হবে?’’
ফেসবুকে বাবুল আরও জানিয়েছেন, তিনি কিছু পাওয়ার আশায় বা ‘পাওয়ার’-এর জন্য রাজনীতিতে আসেননি। কিছুটা বীতশ্রদ্ধ হয়ে ২০১৮ সালে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু দল ‘ভালবাসার সঙ্গে’ তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। তবে আজ সামাজিক মাধ্যমের বন্ধুদের কথাগুলি তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
এই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বাবুল অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের ব্যাখ্যা, গায়ক বাবুল এবং রাজনীতিক বাবুল— দু’টি আলাদা সত্তা। দু’টি আলাদা সত্তাকে নিয়ে তাঁর নিজের মধ্যে যে টানাপড়েন, সেটাই এই ফেসবুক পোস্টে ফুটে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পরে বাবুলকে আর রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি। নিজের কেন্দ্র আসানসোলেও যাননি তিনি। যোগ দেননি জেলা কমিটির বৈঠকেও। যদিও দলীয় সূত্রের খবর, আসানসোল পুরসভা নির্বাচনের জন্য বাবুলকে মাথায় বসিয়ে ১৯ জনের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
বাবুলের এই পোস্ট নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। দলের জেলা আহ্বায়ক শিবরাম বর্মণ বলেন, ‘‘আমার এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য নেই।’’ তবে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক অভিজিৎ ঘটক কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘আসলে বিজেপির দিন ফুরিয়েছে বুঝে হতাশা থেকে বাবুল সুপ্রিয় এমন মন্তব্য করেছেন!’’