ফাইল চিত্র।
বাবুল সুপ্রিয়র দলবদল নিয়ে অনেকেই নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন। বাদ যাননি রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরাও। কিন্তু সেই সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়েও বাবুলের বক্তব্য, অনেকেই শালীনতার সীমা অতিক্রম করেছেন। বাবুলের দাবি, সেই অতিক্রমকারীদের মধ্যে এক জন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়ার পর তিনি বাবুলকে ‘রাজনৈতিক বেশ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। শনিবার বাবুল জানালেন, অরুণাভের মন্তব্যে তিনি একা নন, তাঁর বাবাও দুঃখ পেয়েছেন।
শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন বাবুল। সেখানে তিনি জানান, অরুণাভের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত ভাবে আলাপ আছে। মাঝেমধ্যেই দু’জনের ফোনে কথা হত। বাবুলের কথায়, ‘‘দলবদলের পর এক রাতে বাবা আমাকে বললেন, ‘অরুণাভ ঘোষের সঙ্গে তুই কথা বলতিস? তিনি এক জায়গায় কিছু বলেছেন, যা আমার একদম ভাল লাগেনি।’ আমি জিজ্ঞেস করি, কী বলেছে? দেখলাম বাবা বলতে পারলেন না। পরে মেয়ে দেখাল।’’
অরুণাভ তাঁকে ‘রাজনৈতিক বেশ্যা’ বলেছেন তা জানার পর তাঁকে ফোন করেন বাবুল। তাঁর দাবি, ‘‘আমি অরুণাভ ঘোষকে বলি, সমালোচনা করুন, কিন্তু যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা আপনার কাছ থেকে প্রত্যাশা করিনি।’’ বাবুলের দাবি, ‘‘ফোনে আমাকে বিভিন্ন আপত্তিকর কথা বলেছেন অরুণাভ। এমনকি হাই কোর্টে গেলে তৃণমূলের আইজীবীদের দিয়েই আমাকে মার খাওয়ানোর হুমকি তিনি দিয়েছেন।’’
বাবুল জানিয়েছেন, সেই কথোপকথনের পর অরুণাভের মোবাইল নম্বর থেকে একটি মিসড কল আসে তাঁর মোবাইলে। বাবুল পাল্টা ফোন করেন। অরুণাভ ধরেননি। পরে বাবুল লক্ষ করেছেন, অরুণাভ তাঁকে হোয়াট্সঅ্যাপে ব্লক করে দিয়েছেন।