ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে একটি জনসভায় মন্তব্য করেছিলেন, ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে’। তার পর গঙ্গা-যমুনা দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে। মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের পর বাবুল সুপ্রিয় এখন শিবির বদলে তৃণমূলে। তা হলে এ বার কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় দেখা যাবে বাবুলকে? শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে পোড়খাওয়া রাজনীতিকের মতো তাঁর জবাব, ‘‘দিদি যা বলবেন, তা-ই হবে।’’
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর কেটেছে মাত্র এক সপ্তাহ। বিজেপি ছাড়ার পরেই পরিষ্কার করে বলেছিলেন, তিনি চান মাঠে নেমে খেলতে। সাইড লাইনে বসে থাকায় কোনও আনন্দ নেই। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে এ বার কি বাংলার মন্ত্রী হচ্ছেন বাবুল? মমতা কি তাঁকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় জায়গা দেবেন? বাবুলের জবাব, ‘‘আমি দলের অনুগত সৈনিক। চাই বাংলার জন্য কাজ করতে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তা আমি মেনে নেব।’’
পাশাপাশি, মমতা তাঁকে বাংলার উন্নয়ন পরিকল্পনার অঙ্গ করে নেওয়ায় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন বাবুল। জানিয়েছেন, বিজেপি-তে থাকাকালীন তৃণমূল ও মমতা সম্পর্কে শ্রুতিমধুর কিছুই বলেননি। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বাগ্যুদ্ধ পৌঁছেছিল আদালতের চৌকাঠ পর্যন্ত। বাবুল জানিয়েছেন, সে সব এখন অতীত। এত রাজনৈতিক আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের পরেও যখন মমতা তাঁকে বাংলার কাজের জন্য যোগ্য মনে করেছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ। মমতা তাঁকে যে দায়িত্বই দিন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন যে ভাবে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন, এ বারও তার অন্যথা হবে না বলে জানিয়েছেন বাবুল।