বাবুল সুপ্রিয়
রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে আক্রমণ শানিয়ে টুইট করলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। একই সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে তীব্র কটাক্ষও করেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি মামলায় কৈলাসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে। সেই তদন্তকে ‘কৈলাসে কেলেঙ্কারি’ বলে কটাক্ষ করেছেন বাবুল। তিনি পর পর দু’দিন দু’টি টুইট করেন।
রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বাবুল রবিবারের টুইটে লেখেন, ‘সাত বছর মামলাটি আটকে রেখেছিল মধ্য সরকার ‘কৈলাশে কেলেঙ্কারি’ আজকের খবর! কাকতালীয় ভাবে এটাই লিখেছিলাম গতকাল! কৈলাসের কেলেঙ্কারি, নয়া মামলা।’ প্রসঙ্গত, ‘কৈলাসে কেলেঙ্কারি’ সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা কাহিনিগুলির মধ্যে অন্যতম।
এর পরবর্তী টুইটে বাবুল লেখেন, ‘সিবিআই বা ইডি বিজেপি নেতাদের বাড়ি তল্লাশি করছে না, তাই তারা ধরাও পড়ছে না। দু’-একটা নাম আমি বলি? বলি বিজেপির কোন ‘হনু’ দু’টি ভোটের আগে আমাকে কি পরামর্শ দিয়েছিল, কাদের সাহায্য চাইতে বলেছিল? কারওকে/ অন্যায়কে সাপোর্ট করছি না কিন্তু সুকান্ত, দিলীপ, শুভেন্দুবাবুদের বাড়িতে কি আয়না নেই?’
২০০০ সাল থেকে পাঁচ বছর ইনদওরের মেয়র ছিলেন বিজয়বর্গীয়। তখন গরিব, প্রতিবন্ধী ও অনাথদের জন্য পেনশনের একটি প্রকল্প চালু করেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বদলে একটি সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সেই টাকা বিলি করে ইন্দোর পুরসভা। দেখা যায়, অস্তিত্বহীন লোকেদের নামে বড় একটা অঙ্কের টাকা বিলি হয়েছে। আবার কারও টাকা সই নকল করে অন্য কেউ তুলে নিয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, এ ভাবে পুরসভার ৩৩ কোটি টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিশেষ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। নিয়ম অনুযায়ী মেয়রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। গত ১৭ বছর মধ্যপ্রদেশ সরকার কৈলাস ও অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর অনুমতি দেয়নি। সম্প্রতি বিশেষ আদালত মামলাটিই খারিজ করে দিয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী কে কে মিশ্র এখন এর পরে বিজয়বর্গীয়ের বিরুদ্ধে পেনশন কেলেঙ্কারির তদন্ত চেয়ে ইনদওরের এমএলএ-এমপি দের জন্য বিশেষ আদালতে মামলা করেন। এ সব নিয়েই বাবুল কটাক্ষ করেছেন কৈলাস-সহ রাজ্য বিজেপিকে।