ক্ষমা বাবুলের, নাটক বলছেন ছাত্রনেতা

গত বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া-সহ নানা মহলে চর্চা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই তিনি কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করছেন না বলে জানিয়েও দিয়েছেন বাবুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:১১
Share:

ফাইল চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে নিগ্রহের ঘটনাকে ‘বাচ্চা ছেলেদের কাজ’ বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া-সহ নানা মহলে চর্চা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই তিনি কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করছেন না বলে জানিয়েও দিয়েছেন বাবুল। শনিবার হাওড়ার উলুবেড়িয়ার কুশবেড়িয়ায় একটি বেসরকারি স্কুলে আরএসএস-এর একটি আলোচনাসভায় যোগ দিতে গিয়ে ওই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বাচ্চারা করে ফেলেছে। সময়ের সাথে সাথে বদলে যাবে।’’

ঘটনার দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলমালের সময় দেখা গিয়েছিল কলকাতার সংস্কৃত কলেজের ভাষাবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, বর্ধমানের বাসিন্দা দেবাঞ্জন বল্লভকে। তিনিও বাবুলকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। দেবাঞ্জনের মা রূপালিদেবী ক্যানসার আক্রান্ত। দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবেন না বলেও এ দিন বাবুল তাঁর মাকে আশ্বস্ত করেছেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘বাচ্চা ছেলে। এখন রক্ত গরম। আমি কোনও মামলা করব না বলে লিখে দিয়েছি ছেলেটির মাকে।’’ টুইট করেও বাবুল সে কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘চিন্তা করবেন না মাসিমা। আমি কোনও ক্ষতি করব না আপনার ছেলের। ভুল থেকে ও শিক্ষা নিক এটাই চাই...। দুশ্চিন্তা করবেন না। তাড়াতাড়ি সেরে উঠুন।’’

Advertisement

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন, ‘‘শিক্ষাঙ্গনে এসে গুন্ডামি করে তিন দিন পরে কাউকে ক্ষমা করে দেওয়ার নাটক করে ভাল মানুষ সেজে লাভ নেই। যাদবপুরের গণতান্ত্রিক ছাত্র সমাজ তাঁকে (বাবুল) ক্ষমা করবেন না, যিনি ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে অসভ্যতা করেন।’’ দেবাঞ্জনের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। বর্ধমানে তাঁর বাড়ির লোকজনের সঙ্গেও কথা বলা যায়নি। বাড়ি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রটে যায়, দেবাঞ্জন ঘটনার জন্য বাবুলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশালপন্থী সংগঠন ইউএসডিএফের দাবি, ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ভুয়ো। দেবাঞ্জন ক্ষমা চাননি। ওঁর আসল অ্যাকাউন্ট আপাতত বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবার বাবুল টুইটারে একটি ডিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্র পবন শুক্লকে উত্তেজিত ভাবে কিছু বলতে দেখা যায়। পোস্টে বাবুল লেখেন, ‘‘এই নকশালকে চিনে রাখুন। এ কি সত্যিই যাদবপুরের ছাত্র? যদি তা-ই হয়, তাঁর এমন কাজ করার অধিকার নেই।’’ পবন দাবি করেছেন, ‘‘উনি (বাবুল) সোশ্যাল মিডিয়ায় যা-ই বলে থাকুন, আমি কোথাও কোনও উত্তর দিইনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement