আসানসোলের পদত্যাগী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। ফাইল চিত্র।
বাবুল আছেন বাবুলেই! রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। আর তৃণমূলে যোগদান হয়েছিল সর্বভারতীয় তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডলেই। আবার সেই অভ্যাস বজায় থাকল সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার পরেও। মঙ্গলবার সকালে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ইস্তফা দেন বাবুল। তার কিছুক্ষণ পরেই নিজের স্বস্তির কথা জানিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। ছবিতে চায়ের ভাঁড় হাতে বাবুলের দু’টি ছবিকে এক করে দেখানো হয়েছে। একটি ছবির ২০১৪ সালের, অন্যটি মঙ্গলবারের।
প্রথমটি ২০১৪ সালের প্রথমবার আসানসোলের সাংসদ পদে শপথ নেওয়ার পর মুহূর্ত। যেখানে চোখে কালো সানগ্লাস, গায়ে সাদা পাঞ্জাবি পরে ডান হাতে চায়ের ভাঁড় আর বাঁহাতে মোবাইল ফোন কানে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ২০১৪ সালের ছবিটির সঙ্গে মঙ্গলবার সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার পর একটি ছবিকে যুক্ত করেছেন বাবুল। চোখে সানগ্লাস চাপিয়ে দিল্লির রফি মার্গের একটি কাঠের বেঞ্চে আধশোয়া অবস্থায় বাবুলের ডান হাতে রয়েছে চায়ের ভাঁড়। ছবির সঙ্গে নিজের পদত্যাগের পর মুহূর্তের কথা ফলাও করে লিখেছেন আসানসোলের পদত্যাগী সাংসদ।
ছবিটির নীচে লিখেছেন, ‘দিল্লির রফি মার্গের রাস্তার ধারে আমার প্রিয় বেঞ্চে, আমি সেখানে তখনই যাই যখন আমার নিজের জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন হয়।’