বিএড থাকলেও বসা যাবে টেট-এ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-য় প্রার্থীরা যাতে আরও বেশি সংখ্যায় যোগ দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, বিএড বা ব্যাচেলর অব এডুকেশন ডিগ্রি থাকলেও এ বার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দেওয়া যাবে। এর ফলে আরও বেশি প্রার্থী টেটে বসতে পারবেন বলে জানাচ্ছে শিক্ষা শিবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৬:২৯
Share:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-য় প্রার্থীরা যাতে আরও বেশি সংখ্যায় যোগ দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, বিএড বা ব্যাচেলর অব এডুকেশন ডিগ্রি থাকলেও এ বার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দেওয়া যাবে। এর ফলে আরও বেশি প্রার্থী টেটে বসতে পারবেন বলে জানাচ্ছে শিক্ষা শিবির।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, এনসিটিই এই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কয়েক দিন আগে। সাধারণ ভাবে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার নিয়ম মেনে চলে সব রাজ্যই। তবে পরীক্ষায় বসার নতুন ব্যবস্থার ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত পর্ষদকে জানানো হয়নি।

এক পর্ষদকর্তা জানান, এনসিটিই তাদের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কোনও প্রার্থীর বিএড এবং স্নাতকে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকলেই তিনি টেটে বসতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্য দু’বছরের বিএডের উল্লেখ করা হয়নি। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে, বিএড যখন এক বছরের পাঠ্যক্রম ছিল, সেই সময়কার প্রার্থীরাও ওই নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন। তবে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে গেলেও দু’বছরের মধ্যে একটি বিশেষ পাঠ্যক্রম করে নিতে হবে। ছ’মাসের ওই পাঠ্যক্রম করা বাধ্যতামূলক। যদিও এ রাজ্যে এখনও এই পাঠ্যক্রমের ব্যবস্থা নেই।

Advertisement

ন্যূনতম যোগ্যতা

• স্নাতকে ৫০%, বিএড।

• স্নাতক ও দু’বছরের ডিএলএড।

• উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০%, দু’বছরের ডিএলএড।

• উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০%, চার বছরের বিএলএড।

• উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০%, চার বছরের ডিএড (স্পেশ্যাল)।

(যে-কোনও একটি)

* এসসি, এসটি, ওবিসি ও অন্যান্যের জন্য ৫% ছাড়

* স্নাতক ও বিএড থাকলে চাকরির দু’বছরের মধ্যে বিশেষ কোর্স (ছ’মাস)

এত দিন প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসতে হলে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বরের সঙ্গে সঙ্গে দু’বছরের ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিএলএড) থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ডিএলএড এবং বিএড দু’‌টোই আবশ্যিক ছিল। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চাকরি পেতে হলে প্রয়োজন ছিল শুধু বিএডের। শিক্ষক-নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রথম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত বিএড গ্রহণযোগ্য হওয়ায় চাকরির সুযোগ বাড়বে বলেই মনে হয়।’’

আরও পড়ুন:

প্রবেশিকা নয় কেন যাদবপুরে, প্রতিবাদে রাত পর্যন্ত ঘেরাও উপাচার্য

তবে এনসিটিই-র নতুন ঘোষণার পরে অনেকের প্রশ্ন, তা হলে ডিএলএড পাশ করা প্রার্থীদের কী হবে? পর্ষদ আশ্বাস দিয়েছে, ডিএলএড করলেও প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় বসা যাবে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেই ডিএলএড কোর্স করা যায়। কিন্তু বিএড করতে হলে প্রার্থীকে স্নাতক পাশ করতে হবে। সে-ক্ষেত্রে কারও গুরুত্ব তো কমলই না, উল্টে সুযোগ বাড়ল। পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘টেটে বসতে হলে অন্য যে-সব যোগ্যতার কথা আগে জানানো হয়েছিল, সেগুলোর সবই থাকছে। তার সঙ্গে নতুন করে বিএডের বিষয়টি যোগ করেছে এনসিটিই। তবে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত নির্দেশ এখনও পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

শিক্ষা সূত্রের খবর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও টেট চালু করা যায় কি না, সম্প্রতি এনসিটিই-র একটি বৈঠকে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট সর্বস্তরেই চালু হচ্ছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement