কেন ময়নাতদন্তের উপরে জোর দিচ্ছেন বিশেষ তদন্তকারী দল? তার কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, আনিস-কাণ্ড ‘প্রকৃতিতে জটিল’ এক রহস্য।
কবর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আনিসের মৃতদেহ। নিজস্ব চিত্র
জটিলতা কাটিয়ে সোমবার শেষ পর্যন্ত কবর থেকে আনিস খানের দেহ দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের জন্য তুলতে পেরেছেন সিট সদস্যরা। এসএসকেএম হাসপাতালে হবে এই ময়নাতদন্ত। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তদন্তকারী আধিকারিকরা আনিস-কাণ্ডের রহস্য ভেদ করতে ময়নাতদন্তের উপরই জোর দিচ্ছেন। উল্লেখযোগ্য, এই ময়নাতদন্ত করবেন ৩ চিকিৎসক। এসএসকেএমে শুরু হয়েছে ময়নাতদন্ত।
সিটের দুই তদন্তকারী অধিকারিক চিকিৎসক। সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তে তাঁরা কী তথ্য চান তার তালিকা তৈরি করবেন তাঁরা। তাঁরা চান অটোপ্সি শল্যচিকিৎসকদের উত্তর, যা আনিস মৃত্যু-সহস্য ভেদ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন ময়নাতদন্তের উপরে জোর দিচ্ছেন বিশেষ তদন্তকারী দল? তার কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, আনিস-কাণ্ড ‘প্রকৃতিতে জটিল’ এক রহস্য। তাই তার সমাধানে ভরসা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে সংগৃহীত নমুনা। আর সেই কারণেই ময়নাতদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই রিপোর্ট থেকেই জানা যাবে কী গতিতে, কোন কোণ করে আনিস ছাদ থেকে পড়েছে।
যে বিষয়গুলি দেখা হবে তার মধ্যে রয়েছে, দেহের বাইরে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও ভিতরে কোনও আঘাত রয়েছে কি না, তার আকার এবং গভীরতা কত ইত্যাদি। তা ছাড়া, উপর থেকে পড়ার ফলে শরীরের কোন কোন হাড় ভেঙেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও চাইছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টের উপরও জোড়া দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যুর পর আনিসে দেহ এক বার ময়নাতদন্ত হয়। কিন্তু তাঁর পরিবারের লোকেরা সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করেন। আদালতের নির্দেশ দেয় ফের ময়নাতদন্তের। সেই নির্দেশ অনুযায়ী জেলা জজের উপস্থিতিতে সোমবার বেলা সাডে় বারোটা নাগাদ ফের ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মৃতদেহ তোলা হয়। দেহ নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম-এ। তিন চিকিৎসক এই ময়নাতদন্ত করবেন, যা কি না খুব কম ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে বলে পুলিশ আাধিকারিকরা জানাচ্ছে।