দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের জন্য ছাত্রনেতা আনিস খানের দেহ কবর থেকে তুলতে সোমবার সকালে সিটের সদস্যরা তাঁর আমতার বাড়িতে পৌঁছন। তিন সদস্যের এই দলে রয়েছেন হাওড়ার বিএমওএইচ। তাঁরা প্রথমে আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বলেন। তার পর শুরু হয় দেহ কবর থেকে তোলার প্রস্তুতি।
কবর থেকে তোলা হল দেহ। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ টালবাহানার পর দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হল আনিস খানের মৃতদেহ। জেলা জজের উপস্থিতিতে দেহ তোলা হয়। দুপুর নাগাদ দেহ নিয়ে রওনা হয় অ্যাম্বুল্যান্স।
সোমবার সকাল আটটা নাগাদ সিটের সদস্যরা আনিসের আমতার বাড়িতে পৌঁছন। তিন সদস্যের এই দলে ছিলেন হাওড়ার বিএমওএইচ এবং এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁরা প্রথমে আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বলেন। তার পর শুরু হয় দেহ কবর থেকে তোলার প্রস্তুতি। কিন্তু আনিসের বাবা বলেন, জেলা জজ না এলে দেহ কবর থেকে তুলতে দেবেন না তিনি।
এর পরই বেলা ১২টা নাগাদ এসে পৌঁছন জেলা জজ। তাঁর সামনেই শুরু হয় কবর থেকে দেহ তোলার প্রক্রিয়া। সাড়ে বারোটা নাগাদ আনিসের দেহ কবর থেকে তোলা হয়।
আনিসের কবরস্থলে যাচ্ছেন জেলা জজ। নিজস্ব চিত্র
সিট সদস্যরা আনিসের বাবাকে মৃতদেহ সনাক্ত করার জন্য যেতে বলেন। তিনি আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে জানান, তিনি যেতে পারবেন না বদলে যাবেন তাঁর বড়ছেলে এবং আনিসের কাকার ছেলে। এ ছাড়া গ্রামের ১০ থেকে ১২ জন সঙ্গে যাবেন। এর আগে শনিবার যে সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, সোমবার সে রকম ভাবে বাড়তি পুলিশ রাখা হয়নি।
কবর থেকে দেহ তোলা দেখতে গ্রামবাসীদের ভিড় নিজস্ব চিত্র
বাবার সঙ্গে কথা বলছেন সিট সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা হাই কোর্ট আনিসের দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার রাতে সিট আনিসের পরিবারকে নোটিস দেয় শনিবার ভোরে তাঁর দেহ তোলা হবে। সেই মতো শনিবার ভোরে আনিসের গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাদের। ফলে আনিসের দেহ না তুলেই ফিরে যেতে বাধ্য হয় পুলিশ।
সোমবার আনিসের দেহ তোলার অনুমতি দেওয়া হলেও শনিবার ভোররাতে সিট সদস্যদের দেহ তুলতে আসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আনিসের বাবা এবং দাদা। আনিসের মৃতদেহ চুরি করার উদ্দেশ্যেই আধিকারিকরা এসেছিলেন বলে অভিযোগও তোলেন তাঁরা। শনিবার আনিসের দেহ তোলায় বাধা পাওয়ার পরই রাজ্য পুলিশের তরফে টুইট করে এই ঘটনায় আদালতের নির্দেশকে অমান্য করার পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়।