TMC

তৃণমূল নেত্রীর গাড়িতে হামলা, রিভলভার উঁচিয়ে ত্রাতা রক্ষী

বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের তেপুলমির্জাপুর পঞ্চায়েতের পাড়ুই গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

স্বরূপনগর শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২১ ০৭:৩৮
Share:

স্বরূপনগরে ভাঙচুর হওয়া গাড়ি। ছবি: নির্মল বসু

পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির গাড়িতে ভাঙচুর করল জনতা। রিভলভার উঁচিয়ে সভাপতিকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে যান তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। আহত হয়েছেন দেহরক্ষী নিজেও। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের তেপুলমির্জাপুর পঞ্চায়েতের পাড়ুই গ্রামে।

Advertisement

অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। যদিও তাদের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। ৫ জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে বলে বুধবার রাতে খবর পান স্বরূপনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী সঙ্গীতা কর। রাত ১০টা নাগাদ দেহরক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে হাজির হন সঙ্গীতা। তিনি বলেন, ‘‘ওখানে গিয়ে জানতে পারি, হামলার জন্য দুষ্কৃতীদের জড়ো করছে বিজেপি। আমার গাড়ি লক্ষ্য করে আচমকাই ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। গাড়ির কাচ ভেঙে দেয়। চালক রনি, দেহরক্ষী অতুল পরামানিক-সহ সকলেই জখম হন। বিপদ বুঝে দেহরক্ষী আমাকে নিয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর হাতে বাঁশের ঘা মারা হয়।’’

রিভলভার বের করে তাঁর দেহরক্ষী শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালান বলে দাবি সঙ্গীতার। সে কথা অবশ্য মানছে না পুলিশ। ‘রিভলভার উঁচিয়ে’ তিনি ভিড় ফাঁকা করে দেন বলেই দাবি আধিকারিকদের। খবর পেয়ে বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ সিংহ মহাপাত্র বাহিনী নিয়ে হাজির হন গ্রামে। তিনি বলেন, ‘‘সভাপতি এবং তাঁর দেহরক্ষী সহ কয়েকজনকে মারধর, ভাঙচুরের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ এলাকায় পুলিশি টহল শুরু হয়েছে। অতুলের চিকিৎসা হয়েছে শাঁড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘‘কিছু মানুষ যে আক্রমণ করবে তা আগে বুঝতে পারিনি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ম্যাডামকে নিয়ে সরে আসি। না হলে মারা পড়তে হত।’’

Advertisement

সঙ্গীতার স্বামী নারায়ণচন্দ্র করও ব্লক তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পাড়ুই গ্রামে ভাল ফল করেছি। সেই আক্রোশে তৃণমূল কর্মীদের উপরে বিজেপি হামলা চালায়। আক্রান্তেরা সাহায্যের জন্য ফোন করছিলেন। আমি অসুস্থ থাকায় সঙ্গীতা-সহ কয়েকজন গ্রামে যান। বিজেপির দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়।’’ বিজেপির বসিরহাট জেলা সভাপতি তারক ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িয়ে ভাঙচুর করছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement