শহরের দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়। অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই। ফাইল চিত্র।
কয়েক দিন পরই কালীপুজো, ছটের উৎসব। তার প্রস্তুতি হিসেবে রাস্তায় ফের কেনাকাটার হুড়হুড়ি লেগেছে। শহরের আলোর বাজার থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়। অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই। তাতেই এ বারও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল। তাঁদের কথায়, ‘‘করোনা বৃদ্ধিকে উড়িয়ে দিয়ে আবার রাস্তায় ভিড় বাড়ছে। তার সঙ্গে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। সেখানেও করোনা বিধি উপেক্ষা করে ভিড় হচ্ছে। আর করোনার মত সুযোগ সন্ধানী ও দ্রুত ছড়ানোর ভাইরাস এই অনিয়ন্ত্রিত ভিড়ের সুযোগ খোঁজে।’’
সোমবার বিভিন্ন কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে উৎসব পালনের সঙ্গেই বারবার করে মাস্ক পরার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন হল, ভিড়ে গা ভাসানো লোকজনের অধিকাংশ তো মাস্ক পরছেনই না। প্রশাসন সূত্রের খবর, মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরনো লোকজনকে পাকড়াও করছে পুলিশ। অনেক ক্ষেত্রে জরিমানাও করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও সকলকে করোনা বিধি মানানো সম্ভব হচ্ছে না বলেই অভিযোগ চিকিৎসকদের একাংশের। এক সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, এ বার যাঁরা করোনা আক্রান্ত হবেন, তাঁদের সিংহভাগ হয় উপসর্গহীন থাকবেন, আর কয়েক জন মৃদু উপসর্গে আক্রান্ত হবেন। যাঁরা মাস্ক না পরে, কোভিড বিধি উড়িয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের কেউ যদি আক্রান্তের ওই দু’টি গোত্রের মধ্যে থাকেন, তা হলে তো বিপদ বাড়বেই। কারণ ওই লোকজনের থেকে অন্যেরা আক্রান্ত হবেন। আর সেই আক্রান্তের মধ্যে কেউ যদি বয়স্ক বা কোমর্বিডিটিতে আক্রান্ত হন, তা হলে তাঁর ঝুঁকি অনেক বেশি।
সোমবার সপ্তম সেন্টিনেল সার্ভের রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। করোনা কোথায় ঘাপটি মেরে রয়েছে, তা জানতে এই সমীক্ষা চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। এ বারের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা, দার্জিলিং, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ মোট ১১টি জেলার পজ়িটিভিটি রেট রয়েছে ১ থেকে ২.৯৯-র মধ্যে। আবার শূন্য থেকে ১-র মধ্যে রয়েছে ১৬টি জেলা। তবে পজ়িটিভিটি রেট ৩-র উপরে রয়েছে শুধু হুগলি জেলাতে। এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।