পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
গাড়ির করে বড়সড় ছাড় দেওয়ার জন্য বিধানসভায় বিল পাশ করল রাজ্য। শনিবার বিধানসভায় পরিবহণ দফতরের দু’টি বিল পাশ করা হল। সেই বিল পাশের পর রাজস্ব বাড়তে পারে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে তিনটি পর্যায়ে পথ করে এই ছাড় দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে ১০ বছরের কর একসঙ্গে জমা দিলে ৪০ শতাংশ ছাড় মিলবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। এককালীন পাঁচ বছরের কর দিলে মিলবে ৩০ শতাংশ ছাড়। তিন বছরের কর দিলে মিলবে ১৫ শতাংশ ছাড়। নথিভুক্ত ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে ছাড়ের সীমা রাখা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ১০ বছরের কর একসঙ্গে জমা দিলে ছাড়ের পরিমাণ হবে অনেকটাই।
পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস বলেন, “গাড়ির মালিকদের ঘাড় থেকে করের বোঝা কমাতেই রাজ্য সরকারের তরফে নতুন এই আইন করা হয়েছে। এই নতুন কর কাঠামোর ১০ শতাংশ যদি আদায় হয়, তা হলেই রাজ্য সরকারের ৯০০ থেকে হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত আয় হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “নতুন এই ছাড়ের সুবিধা নিলে গাড়ির মালিকদের আইনগত ক্ষেত্রেও বহু সুবিধা মিলবে। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, গাড়ির বিমা বা সিএফ পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। কিন্তু এই এক পদ্ধতিতে ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করলে সেই সব সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন গাড়ির মালিকেরা।” চলতি বছরই বকেয়া কর আদায়ের জন্য ওয়েভার স্কিম চালু করেছে পরিবহণ দফতর। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস ধরে চলেছে এই নতুন স্কিম। এই স্কিমের আওতায় বকেয়া কর গাড়ির মালিকেরা জমা দিলে জরিমানা মকুব করার কথা বলা হয়েছে। সেই ছাড়ের সঙ্গেই আবারও নতুন করে আইন তৈরি করে ছাড়ের ব্যবস্থা করা হল। পাশাপাশি আরও একটি বিল পাশ করে ছয় টনের নীচে থাকা বাণিজ্যিক গাড়িগুলির জন্য নতুন কর কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। অটো, ই-রিকশা ও ট্র্যাক্টরগুলিকে আগে তিন মাস অন্তর কর দিতে হত। নতুন এই আইনে বার্ষিক কর দেওয়ার সুবিধা পাবেন এই ধরনের গাড়ির মালিকেরা।