শিবপ্রসাদ (শিবু) হাজরা ও উত্তম সর্দার। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডে এ বার গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করল পুলিশ। তা রুজু হয়েছে উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ (শিবু) হাজরার বিরুদ্ধে মামলায়। উত্তম গ্রেফতার হলেও এখনও অধরা শিবপ্রসাদ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এক মহিলার গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের কাছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তম ও শিবুর বিরুদ্ধে মামলায় গণধর্ষণের ধারা যোগ করা হয়েছে। শনিবার উত্তমকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছে। তাঁকে ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে চাওয়া হয়েছে।
মামলার সরকারি আইনজীবী অরুণ পাল বলেন, ‘‘দুটো ধারা যুক্ত হয়েছে। ৩৭৬ (ডি) এবং ৩০৭...গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা।’’ এ ছাড়া উত্তমের বিরুদ্ধে আর একটি মামলায় ৩৭৬(ডি) এবং ৫১১ নম্বর রয়েছে। ওই মামলাতেই ১০ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়েছে।
বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান জানান, সন্দেশখালি এখন নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বলেই ধারা যোগ করা হয়েছে। গোটা বিষয়টিই তদন্ত করে দেখা হবে।
গত সপ্তাহে সন্দেশখালিতে দফায় দফায় হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল উত্তমের। তার পরেই তাঁকে দল থেকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিল শাসকদল তৃণমূল। ঠিক তার পরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে তাঁকে আদালত জামিন দেয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সন্দেশখালির স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, উত্তমকে গ্রেফতার করা হলেও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিবু কেন এখনও অধরা? এ প্রসঙ্গে শনিবার জেলা পুলিশ সুপার জানান, তদন্ত চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখেই পদক্ষেপ করা হবে। সন্দেশখালিতে তৃণমূলের যে প্রতিনিধি দল গিয়েছিল, তাদেরও বক্তব্য ছিল, প্রয়োজন পড়লে উত্তমের মতো শিবুর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করবে দল।
(এই খবরটি সবেমাত্র দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত খবরটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই আসছে। অপেক্ষা করুন। পাতাটি কিছু ক্ষণ পর পর রিফ্রেশ করুন। আপডেটেড খবরটি আপনি দেখতে পাবেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।)