Amit Shah

রাজ্যে ফের আসছেন অমিত শাহ, মথুরাপুর, সাগরে প্রস্তুতি জোরকদমে

১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা নাগাদ হেলিকপ্টারে সাগরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবদাদাতা

মথুরাপুর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:২৩
Share:

মথুরাপুরে অমিত শাহের সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব। —নিজস্ব চিত্র

১৮ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহের রাজ্য সফর ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। ওই দিন কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেওয়ার পর মথুরাপুরে রথযাত্রার সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের এই সফরের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। রবিবার সভা-সহ অন্যান্য় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

নামখানার ইন্দিরা ময়দানে জনসভার পরই মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার রথযাত্রার সূচনা করবেন অমিত শাহ। ১৮ ফেব্রুয়ারির ওই সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রবিবার নামখানায় আসেন বঙ্গ বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) অমিতাভ চক্রবর্তী, রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সভাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি দলটি পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কাকদ্বীপ, নামখানায় তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড।

দলীয় সূত্রে খবর, ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা নাগাদ হেলিকপ্টারে সাগরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। দুপুরে সাগরেই মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তিনি। দুপুর দেড়টা নাগাদ নামখানার ইন্দিরা ময়দানে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার রথযাত্রা চলবে ৩ দিন। ডায়মন্ড হারবার জেলায় চলবে ২ দিন এবং জেলার পশ্চিম ভাগে চলবে ৪ দিন।

Advertisement

রথযাত্রার আয়োজনের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা গৌতম চৌধুরী বলেন, ‘‘সভার আয়োজন করতে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের হুমকির মুখে পড়ছেন আমাদের কর্মীরা৷ তবে এ ভাবে সভায় যোগ দেওয়া ঠেকানো যাবে না। লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতেই সভা ও রথযাত্রার সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’’ তবে কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টু রাম পাখিরা অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘জেলার ৩১টি বিধানসভাই তৃণমূলের দখলে। শুধু শুধু ওদের (বিজেপি) বাধা দিয়ে কি লাভ? তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে প্রচারে আসার চেষ্টা করছে বিজেপি। ওসব করে কোনও লাভ নেই৷ দাঙ্গাবাজ দলের বাংলায় কোনও স্থান নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement