এএসআই-এর সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যসভায় সরব ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
শান্তিনিকেতনের ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ভার আর সামলাতে পারবে না ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএইআই)। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন এএসআই কর্তৃপক্ষ। বুধবার সংসদে তার বিরুদ্ধেই সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ভাবে আচমকা ওই ঐতিহ্যবাহী কাঠামোগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ভার এএসআই ছেড়ে দিতে পারে না, দেখভাল চালিয়ে যেতে হবে— দাবি তুললেন তিনি। বিষয়টি জানানো হোক সংস্কৃতি মন্ত্রকে— রাজ্যসভার নেতাকে নির্দেশ দিলেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু।
বিশ্বভারতীর উত্তরায়ণ চত্বরে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত পাঁচটি ভবনের কথা এ দিন রাজ্যসভায় উল্লেখ করেন ঋতব্রত। উল্লেখ করেন একটি কাঁচাবাড়ির কথাও, সংস্কারের পরে যেটির উদ্বোধন হয়েছে চলতি বছরের অগস্টে। উদ্বোধনে গিয়েছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু নিজেই। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত সাংসদ এ দিন বেঙ্কাইয়াকে জানান, ওই সব ক’টি বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণই এত দিন এএসআই করত। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সে দায়িত্ব তারা আর পালন করবে না।
ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলির রক্ষণাবেক্ষণে যে রকম তহবিল এবং যে রকম দক্ষতা জরুরি, তা এএসআই ছাড়া কারও পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে সাংসদ এ দিন দাবি করেন। ইতিমধ্যেই কোন কোন বাড়ির কোন কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা-ও রাজ্যসভায় জানান ঋতব্রত।
আরও পড়ুন: আড়াই বছর করে সেনা-এনসিপির মুখ্যমন্ত্রী, জোটে ‘হ্যাঁ’ সনিয়ার, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন প্রায় নিশ্চিত?
আরও পড়ুন: ধর্মতলার কাছে সাত তলার জানলা দিয়ে উড়ে আসছে লাখ লাখ টাকা! কুড়োতে হুড়োহুড়ি
জিরো আওয়ারে বাংলার সাংসদের তোলা এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই শোনেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া। ঋতব্রতর ভাষণ শেষ হতেই রাজ্যসভার নেতা থবরচন্দ গহলৌতকে তিনি বিষয়টি ‘নোট’ করতে এবং সংস্কৃতি মন্ত্রককে জানাতে বলেন। যে পরিস্থিতির কথা বাংলার সাংসদ বলছেন, তা সত্য হলে, বিষয়টি দেখা দরকার— এ দিন এমনও বলেছেন বেঙ্কাইয়া।