অশোক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
অসুস্থতার কারণে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যকে ভর্তি করানো হয় নার্সিংহোমে। ফের তাঁর লালারসের নমুনাও পরীক্ষা করানো হল। মঙ্গলবার বেলা দেড়টা নাগাদ মাটিগাড়ায় উপনগরীর মধ্যে থাকা একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। তার আগে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে গিয়ে তিনি কিয়স্কে লালারস পরীক্ষা করান।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হন। এদিন সেই মতো কলেজপাড়ায় একটি নার্সিংহোমে গিয়ে চিকিৎসক শেখর চক্রবর্তীকে দেখানো হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তিলক রোডের একটি নার্সিংহোমে গিয়ে বুকের সিটি স্ক্যান করান। তাতে ‘চেস্ট ইনফেকশন’ ধরা পরে। চিকিৎসক জানান, নিউমোনিয়া রয়েছে। সেই মতো তিনি নার্সিংহোমে ভর্তির পরামর্শ দেন।
পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক ধরেই জ্বরে ভুগছেন পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান। একবার লালারসের নমুনা পরীক্ষাও করা হয়। রবিবার রিপোর্ট এলে দেখা যায়, তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ নেই। এ দিকে জ্বর কমছিল না। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের লোকেরা। তাঁর প্রস্রাবে সংক্রমণ ছিল। তা থেকেই জ্বর আসছিল বলে অনুমান পরিবারের। তবে সোমবার রাতে জ্বর বেড়ে যাওয়ায় এ দিন সকালেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা শঙ্কর চক্রবর্তী যান তাঁর বাড়িতে। কলেজপাড়ায় চিকিৎসককে দেখানোর পর বাড়িতে গিয়ে দুপুরের খাবার খান। তার পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মাটিগাড়ার নার্সিংহোমে।
নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। চিকিৎসকরা দেখছেন। শঙ্কর বলেন, ‘‘জ্বর ছাড়ছে না। বাড়িতে থাকাটা তাই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে এদিন নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে।’’
চেয়ারম্যানের অসুস্থতা নিয়ে গুজব রটে, তিনি নাকি করোনা আক্রান্ত! তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। পুরসভার একাধিক কর্মীর জ্বর, অসুস্থতা নিয়েও উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তাঁর শরীর কেমন রয়েছে, খোঁজ নেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। এদিন অশোককে নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হচ্ছে জেনে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রঞ্জন বলেন, ‘‘তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। নার্সিংহোমে চিকিৎসকের কাছ থেকে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।’’