অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
আসানসোল সংশোধনাগারে কমোড অর্থাৎ পশ্চিমী ধাঁচের শৌচাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল চাইলে ওই শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন বলে জানিয়ে দিলেন জেল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার অনুব্রতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ আদালত। এর পরেই জানা যায়, বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে যে সংশোধনাগারে রাখা হবে, সেখানে কমোডওয়ালা শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগা অনুব্রতের কাছে যা একটা ‘বড় সমস্যা’ হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁর ঘনিষ্ঠেরা।
কিন্তু বৃহস্পতিবার জেলের সুপার কৃপাময় নন্দী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘সংশোধনাগারে কমোড রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল বা যে কোনও কয়েদিই ওই শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন। কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’’ জেল সূত্রেও খবর, বৃহস্পতিবার ওই কমোডওয়ালা শৌচাগারই ব্যবহার করেছেন তিনি।
অনুব্রত বরাবরই তাঁর শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে এসেছেন সিবিআইকে। শ্বাসকষ্ট, মধুমেহ রোগের মতো সমস্যার পাশাপাশি অর্শের সমস্যাতেও ভোগেন তিনি। যার জন্য নানা সতর্ক থাকতে হয় বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে। বুধবার অনুব্রতের এই শারীরিক সমস্যার কথা মাথায় রেখেই সিবিআই আদালতের বিচারক তাঁকে সব রকম ওষুধ এবং শ্বাসকষ্ট প্রশমনের যন্ত্র জেলে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন।
জেল সূত্রে খবর, অনুব্রতকে আপাতত জেলের কক্ষে রাখা হয়নি। আসানসোল জেলের ভিতরে যে হাসপাতাল রয়েছে, তার দু’টি ঘরের একটিতে রয়েছেন অনুব্রত। ওই ঘরে বেড আছে। রয়েছে ঘরের লাগোয়া আলাদা শৌচাগারও। তবে সেটি ভারতীয় ধাঁচের।
অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ মহলের আশঙ্কা ছিল, ওই শৌচাগার ব্যবহার করতে বেশ সমস্যায় পড়তে হতে পারে অনুব্রতকে। তার পরেই সংশোধনাগারে কমোডের শৌচাগার থাকার কথা জানিয়ে দিল জেল কর্তৃপক্ষ। যদিও তাতে ‘কেষ্টদা’র কতটা সুবিধা হবে, তা নিয়ে খানিক উদ্বিগ্ন তাঁর ঘনিষ্ঠেরা।