তৃণমূলে যোগদান করেই অধিকারী পরিবারকে নিশানা অর্জুন সিংহর। ফাইল চিত্র
বিজেপি ছেড়ে অর্জুন সিংহ তৃণমূলে যোগ দিতেই, তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। রবিবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে যোগদানের পরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্যারাকপুরের বিজেপি ত্যাগী সাংসদ। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা নিয়ে। জবাবে নাম না করে তিনি ইঙ্গিত করেছেন অধিকারী পরিবারের দিকেই। তিনি বলেন, ‘‘এমন দু’জন সাংসদ রয়েছেন, যাঁরা তৃণমূলের হয়ে লোকসভায় জিতেছেন। অথচ এখন তাঁরা বিজেপি করছেন। তাঁরা আগে ইস্তফা দিন। আমার ইস্তফা দিতে এক ঘণ্টাও লাগবে না। দিল্লি যেতে যতটুকু সময় লাগে, ততটুকুই অপেক্ষা করতে হবে।’’
উপস্থিত কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, অর্জুনের নিশানায় রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিবার। তাঁর বাবা শিশির অধিকারী কাঁথি ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। তবে নিজের প্রশ্নের জবাবে একটি বারের জন্যও অধিকারী পরিবারের নাম মুখে আনেননি তিনি। প্রসঙ্গত, তৃণমূল হোক বা বিজেপি, শুভেন্দুর সঙ্গে অর্জুনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালই। কিন্তু বিজেপি ছেড়ে সম্প্রতি যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাই আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু কিংবা তাঁর পরিবারকে। অর্জুনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১ মার্চ এগরায় অমিত শাহের জনসভায় হাজির হয়েছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশির। তবে দিব্যেন্দুকে এখনও বিজেপি-র কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।