nusrat jahan

Nusrat Jahan: লোকসভার ওয়েবসাইটে সাংসদ নুসরত জাহান ‘বিবাহিতা’, স্বামীর নাম: নিখিল জৈন

নুসরত নিখিলের সঙ্গে লিভ-ইন করেছেন বলে দাবি করলেও সরকারি নথিতে তিনি বিবাহিতা এবং স্বামীর নাম নিখিল জৈন। বিয়ে করেছেন ২০১৯ সালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ১৬:০০
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান বুধবার দুপুরে বলেন, ‘‘নিখিলের সঙ্গে আমি সহবাস করেছি। বিয়ে নয়। ফলে বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।’’ আনন্দবাজার ডিজিটালে সেই খবর প্রকাশের পরেই হইচই শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পরে দেখা যায়, নুসরত নিখিলের সঙ্গে লিভ-ইন করেছেন বলে দাবি করলেও সরকারি নথিতে তিনি বিবাহিতা এবং স্বামীর নাম নিখিল জৈন। লোকসভার ওয়েবসাইটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদদের যে তালিকা তাতে নুসরতের নামে ক্লিক করলেই দেখা যাচ্ছে যাবতীয় তথ্য। সেখানে স্পষ্ট লেখা নুসরত বিবাহিত। তিনি বিয়ে করেছেন ২০১৯ সালের ১৯ জুন। স্বামীর নাম নিখিল জৈন।

Advertisement

সম্প্রতি জানা যায়, মা হতে চলেছেন নুসরত। অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় কী তা নিয়ে গত ৫ দিন ধরে বিতর্ক তুঙ্গে। শুধু তাই নয়, নিখিলের সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে না কেন, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে চার দিক থেকে। এমনকি লেখিকা তসলিমা নাসরিনও নুসরতের নীরবতা নিয়ে কথা বলেছিলেন নেটমাধ্যমে। লিখেছিলেন, ‘…এই যদি পরিস্থিতি হয়, তবে নিখিল আর নুসরতের ডিভোর্স হয়ে যাওয়াই কি ভালো নয়? অচল কোনও সম্পর্ক বাদুড়ের মতো ঝুলিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। এতে দু’পক্ষেরই অস্বস্তি।’ এর পরেই নুসরত জানিয়েছেন, তিনি আদৌ নিখিলকে বিয়েই করেননি।

খুব কম অতিথি নিয়েই তুরস্কে বিয়ে হয়েছিল নুসরত ও নিখিলের। সেই প্রসঙ্গ টেনে নুসরত জানিয়েছেন, তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে ওই অনুষ্ঠান অবৈধ। উপরন্তু হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে করা উচিত। যা এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি। ফলত, এটা বিয়েই নয়। বুধবার এমনই যুক্তি প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী সাংসদ। তাঁর দাবি অনুযায়ী, যে বিয়ে আইনত সিদ্ধ নয়, তার জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের প্রয়োজন নেই।

Advertisement

কিন্তু সংসদকে বিবাহিত হিসেবে পরিচয় জানিয়েছেন কেন? এ বার উঠবে সেই প্রশ্ন। কারণ, নিয়ম অনুষায়ী সংসদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওয়েবসাইটে পরিচয় দেওয়া হয়। তবে গত লোকসভা ভোটের আগে লোকসভা নির্বাচনকে যে হলফনামা দিয়েছিলে নুসরত তাতে অবিবাহিতই দাবি করেছিলেন নিজেকে। কারণ, তাঁর বিয়ের যে তারিখ লোকসভার ওয়েবসাইটে রয়েছে তা নির্বাচনের পরের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement