ফাইল চিত্র।
আবারও কান্নায় ভেঙে পড়লেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বেরোনোর সময় ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায় ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’কে।
ইডির গাড়িতে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদেন অর্পিতা। এর আগেও জোকার হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। গত শুক্রবার অর্পিতাকে ঘিরে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। সে দিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিছুতেই গাড়ি থেকে নামতে চাননি অর্পিতা। হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শেষমেশ টেনেহিঁচড়ে জোর করে অর্পিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার জোকার হাসপাতালে ঢোকার সময় টাকার উৎস নিয়ে আবারও মুখ খোলেন অর্পিতা। তিনি দাবি করেন যে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা তাঁর নয়। তিনি বলেছেন, ‘‘এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে এই টাকা ঘরে ঢোকানো হয়েছে।’’
অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলে জেরায় অর্পিতা জানিয়েছেন বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল। যদিও এই টাকা ‘আমার নয়’ বলে দাবি করেছেন পার্থ।
অর্পিতার পরিণতি দেখে হতবাক তাঁর মা মিনতি মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী ও তৃণমূলের অপসারিত পদাধিকারী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতার কি সত্যিই ‘বন্ধুত্ব’ রয়েছে? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে অর্পিতা মা বলেন, ‘‘বন্ধুত্ব আছে কি না জানি না। একটা অত বড় বয়স্ক লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে কি না, আমার মনে এ সব প্রশ্ন জাগেনি।’’
এরই মধ্যে শহরে একাধিক স্থানে ইডির অভিযান চলছে। অর্পিতার নেল আর্টের স্টুডিয়োতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। অর্পিতার আর কোনও সম্পত্তির হদিস পাওয়া যায় কি না, সে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।