লাফিয়ে বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত টাকার অঙ্ক। এর আগে এসএসসিতে ১০০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছিল ইডি। বুধবার তারা আদালতকে জানাল, শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অঙ্ক ১৫০ কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, সম্প্রতিই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির খোঁজ করতে গিয়ে আরও নতুন কয়েকটি সংস্থার হদিস পেয়েছে তারা। এর মধ্যে একটি মেমোরিয়াল ট্রাস্টর চেয়ারম্যান খোদ পার্থের কন্যা বাবলি চট্টোপাধ্যায়। আবার ওই সংস্থারই অছি পর্ষদের সদস্য পার্থের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। ইডি বলেছে, তারা যখনই এই ধরনের সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে অন্তত ৩০-৪০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেই অনুপাত মাথায় রেখেই ইডি ওই অনুমানের কথা আদালতকে জানিয়েছে। তারা বলেছে, অচিরেই এসএসসি দুর্নীতির মোট অঙ্ক দেড়শো কোটি ছাপিয়ে যাবে।
বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজির হন জেলবন্দি পার্থ এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আদালতে পার্থ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এই পর্বেই সওয়াল-জবাব চলাকালীন ইডির আইনজীবীরা দাবি করেন, আগে যে সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, তা ছাড়াও আরও দু’টি নতুন সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পার্থ এবং অর্পিতার মামলার শুনানিতে নতুন দু’টি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিল ইডি। সেই সময় ইডি জানিয়েছিল, এসএসসি নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অঙ্ক একশো কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইডি তখন আদালতকে জানিয়েছিল, রাসবিহারী কানেক্টরের কসবায় একটি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি ৮, যামিনী রায় রোডেও একটি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। তবে বুধবার ইডি নতুন দু’টি সম্পত্তির ঠিকানা জানায়নি। বরং বলেছে তদন্তের স্বার্থে এখনই সংস্থা দু’টির নাম প্রকাশ করা যাবে না।