প্রতীকী ছবি
তৃণমূল-বিজেপির গোলমালে ফের উত্তপ্ত হল হালিশহর। বিজেপির অভিযোগ, শনিবার রাতে ফের তাদের এক কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূলের লোকজন। তৃণমূল সে অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে গুন্ডাগিরির অভিযোগ এনেছে। অন্য দিকে, শনিবার হালিশহরে যাওয়ার ঘটনায় ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে লকডাউন ভাঙার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে বীজপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে হালিশহরে বিজেপির এক কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। বাধে। অর্জুন এলাকায় ঢুকলে তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ চলে। অর্জুনের অভিযোগ, শনিবার রাতে বিট্টু জয়সওয়াল নামে তাঁদের এক কর্মীর বাড়ি তৃণমূলের লোকেরা ভাঙচুর করেছে। অভিযোগ জানালে উল্টে পুলিশ তাঁকেই শাসিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির নিজেদের গোলমালের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল নেতা সুবোধ সরকার বলেন, “হালিশহরে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করতেন, অর্জুনের অনুগামীরা তাঁদের কাজ করতে দিচ্ছে না। তা নিয়ে নিজেদের গোলমাল-মারপিট হচ্ছে। সেই দোষ ওরা এখন আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমাদের কেউ ওদের বাড়ি ভাঙচুর করেনি। ওরাই বরং আমাদের লোকদের মারছে।”অর্জুন বলেন, “আমার দলের ২২ জন জখম। তারপরেও পুলিশ আমাদের লোকেদেরই শাসাচ্ছে। এনকাউন্টারের ভয় দেখাচ্ছে। বীজপুরের পুলিশ ক’জনকে এনকাউন্টার করতে পারে দেখব। তারপরে পুলিশ যেন পাল্টা রিয়্যাকশনের জন্য তৈরি থাকে। আমার বিরুদ্ধে কত কেস ওরা দিতে পারে দেখি।” পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, কাউকে কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি। লকডাউন অবস্থায় অর্জুন প্রচুর লোক নিয়ে অন্য এলাকায় ঘোরাঘুরি করে আইন ভেঙেছেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।