—প্রতীকী ছবি।
এক বছর আগেই পথচলা শুরু করেছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ ও হুগলির আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ। দু’জায়গাতেই সব পরিকাঠামো এখনও ঠিক করে চালুও হয়নি। কিন্তু যাদবপুর-কাণ্ডের পরে সেখানে শরৎচন্দ্র মেডিক্যালে তড়িঘড়ি তৈরি করা হল ‘অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি’। আরামবাগ মেডিক্যালে কমিটি তৈরি হয়েই ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা ঢেলে সাজা হয়েছে। নতুন পড়ুয়াদের যাতে কোনও হেনস্থা করা না হয়, তা নিয়ে দুই কলেজে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।
শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা মেনে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি তৈরির পাশাপাশি সদ্য দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণদের কাউন্সেলিং করা হয়েছে। প্রথম বর্ষে যাঁরা ভর্তি হবেন, তাঁদের থাকার ব্যবস্থা আলাদা করা হয়েছে। কলেজের ভবন তৈরি হচ্ছে। আপাতত পুরনো আবাসিক ছাত্রদের করোনা ওয়ার্ড, রোগীর আত্মীয়দের অপেক্ষার ঘরে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে আবাসন বানানো হচ্ছে দ্বিতীয় ব্যাচের পড়ুয়াদের জন্য। সবার থাকার ব্যবস্থা কাছাকাছি হওয়ায় বাড়তি নিরাপত্তাকর্মী বহাল করা হচ্ছে। মেডিক্যাল সুপার তথা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল শুভ্রা মণ্ডল বলেন, ‘‘সদ্য দ্বিতীয় ব্যাচের পড়ুয়ারা আসছেন। র্যাগিংমুক্ত পরিবেশ তাঁরা যাতে পান, তা নিশ্চিত করাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।’’
আরামবাগ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ফের ঢেলে সাজা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড গঠন করেছি আমরা। এই স্কোয়াড অভিযোগ পাওয়া মাত্র কোনও বৈঠক না ডেকেই সঙ্গে সঙ্গে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।” তিনি জানান, র্যাগিং নিয়ে হস্টেলের আবাসিক ছাড়া তাঁদের অভিভাবকেরাও কলেজের ওয়েবসাইটে বা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন। নতুন ব্যাচ এলে তাঁদের নিয়ে বসা হবে। সেই সেমিনারে সিনিয়র ছাত্রেরাও থাকবেন। পুলিশের প্রতিনিধি যাতে থাকেন, সেই অনুরোধ করা হয়েছে। পুরো চত্বরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তথ্য সহায়তা: পীযূষ নন্দী