—ফাইল চিত্র।
পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের দাবিতে আগেই মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলায় যাতে দ্রুত শুনানি হয়, সেই বিষয়টি নজরে আনা হল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের।
দীর্ঘ দিন ধরেই ফাঁকা পিএসসির চেয়ারম্যান পদ। অভিযোগ, এর জেরে পিএসসির একাধিক পরীক্ষার ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে না। আটকে বিভিন্ন জুডিশিয়াল সার্ভিসেস ও ডব্লিউবিসিএস-এর মতো পরীক্ষার ইন্টারভিউও। এই সব অভিযোগ ওঠার পরেই পিএসসির চেয়ারম্যান নিয়োগের দাবিতে মামলা হয় হাই কোর্টে। তার দ্রুত শুনানির জন্যই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন মামলাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ।
পিএসসিতে ছ-সাত জন সদস্য থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে পিএসসিতে রয়েছেন মাত্র দু’জন। পাশাপাশি, দীর্ঘ দিন ধরে ফাঁকা পড়ে রয়েছে চেয়ারম্যানের পদ। যে কারণে ডব্লুবিসিএস থেকে শুরু করে রাজ্য জুডিশিয়াল সার্ভিসের একাধিক পরীক্ষার ইন্টারভিউ থমকে রয়েছে। গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি পদের নিয়োগ পিএসসির থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
চলতি বছরের শুরুতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও অতি দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান এবং সদস্য নিয়োগ করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। রাজভবন সূত্র জানিয়েছিল, রাজভবনে থাকা ‘শান্তিকক্ষে’ রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ না হওয়ায় যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছেন না। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরেই রাজ্যপাল রাজ্যকে পিএসসি-র চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে বলেছিল তা নিয়ে বোসকে পাল্টা কটাক্ষ করেছিল শাসকদল। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছিলে, ‘‘শান্তিকক্ষে কবে থেকে আবার অভিযোগ জমা পড়া শুরু হল? আসলে রাজ্যপাল সংবাদে ভেসে থাকতেই এমন সব কথা বলছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পিএসি-তে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ নিয়ে কখন পদক্ষেপ করতে হবে, তা রাজ্য সরকার ভালই জানে। তাই এতে কারও পরামর্শ বা নির্দেশের প্রয়োজন নেই।’’