মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভোটের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন পড়ুয়াদের একটি অংশ। ফাইল ছবি।
নানা দাবিতে প্রতিবাদের কারণে বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে শহরের হাসপাতালগুলিতে। হয়রানির মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। হাসপাতালগুলিতে এই সব প্রতিবাদ, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই। কলকাতা হাই কোর্ট এ নিয়ে পাকাপাকি ভাবে কোনও নির্দেশিকা তৈরি করে দিক। এই আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত। বুধবার শুনানির সম্ভাবনা।
মামলাকারী আইনজীবীর আর্জি, পরিষেবা সচল রাখতে আপাতত কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিক হাই কোর্ট। মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আইনজীবীর দাবি, বিভিন্ন সময়ে কলকাতার মূল চারটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স বা পড়ুয়াদের আন্দোলনে স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটেছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা ছাড়াও পড়াশোনাতেও ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্রভোটের দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আন্দোলন করছিলেন পড়ুয়ারা। তাতে এক দিকে পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনই পরিষেবা পেতেও হয়রান হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এ বার তা বন্ধের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী। বুধবার মামলাটি শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ।